চট্টগ্রামে ফুটবল-জোয়ার ফেরানোর উদ্যোগ
একটা সময় ঢাকার পরই চট্টগ্রামের ফুটবল লিগ সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল। চট্টগ্রাম লিগের কোনো কোনো ম্যাচে দর্শকে ঠাসা থাকত এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। চট্টগ্রাম থেকে উঠে এসেছিলেন অনেক নামিদামি ফুটবলার; যাঁরা পরবর্তী সময়ে জাতীয় পর্যায়েও ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছিলেন। দেশের ফুটবল জৌলুশ হারিয়ে এখন বেহাল দশায়। চট্টগ্রামেও ফুটবলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। অবশেষে বন্দরনগরীতে ফুটবলের ‘মরা গাঙে’ জোয়ার আনার উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দেশের জনপ্রিয় ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের নামে একটি আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য তারিখ ২০ থেকে ৩০ অক্টোবর। বাংলাদেশের তিনটি এবং পাঁচটি বিদেশি ক্লাব অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। তারা হলো-ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্র, কলকাতা মোহামেডান, কলকাতা ইস্ট বেঙ্গল, ডি স্পিঙ্গার বাজান ক্লাব (আফগানিস্তান), করাচি ইলেকট্রিক ফুটবল ক্লাব (পাকিস্তান) এবং সলিড এফসি (শ্রীলঙ্কা)।
বাংলাদেশের কোনো ক্লাবের উদ্যোগে এই প্রথম একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। তা-ও আবার চট্টগ্রামে। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চট্টগ্রাম আবাহনীর সদস্য সচিব শামসুল হক চৌধুরীর বক্তব্য, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চট্টগ্রামে ফুটবলের জাগরণ, দর্শকদের মাঠমুখী করা। পাশাপাশি আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ কামালের নাম সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়া। আশা করছি এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের ফুটবলেও নতুন উদ্দীপনা তৈরি হবে।’
আশীষ ভদ্র, সত্যজিৎ দাস রুপুদের মতো সাবেক তারকা ফুটবলাররা চট্টগ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। ঢাকা লিগের অনেক তারকা ফুটবলার চট্টগ্রাম লিগেও খেলতেন। সেই লিগের এখন এতটাই দুর্দশা যে নিয়মিত আয়োজনই হয় না। আন্তর্জাতিক ক্লাব টুর্নামেন্টটি তাই বন্দরনগরীর ফুটবলে নতুন প্রাণসঞ্চার করতে পারে।
টুর্নামেন্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান। আগামী ১২ অক্টোবর ঢাকার একটি হোটেলে টুর্নামেন্টের ড্র হবে। আর ১৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটা জাঁকজমকপূর্ণ করতে ভারতীয় শিল্পীদের আনার পরিকল্পনা আয়োজকদের।
প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণ ফি হিসেবে প্রত্যেক দল পাবে পাঁচ হাজার ডলার। চ্যাম্পিয়ন দল ২৫ হাজার এবং রানার্সআপ দল ১০ হাজার ডলার অর্থপুরস্কার পাবে।