সাকিবের কাছে হেরে মুশফিকের বিদায়

আসরের লিগ পর্বে দারুণ খেলেছিল চিটাগং ভাইকিংস। তাই শেষ চারে উঠতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি তাদের। পুরো আসরে দুর্দান্ত খেলা দলটি প্লে-অফ পর্বে এসে খেই হারিয়ে ফেলল। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ছোট সংগ্রহ গড়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। তাই ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় তারা।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে চিটাগং প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩৫ রান গড়ে। জবাবে সাকিবের ঢাকা চার উইকেট হারিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
লঙ্কান ওপেনার উপল থারাঙ্গা (৫১) এবং ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের (৩১) ব্যাটে ভর করে এই সহজ জয় পায় ঢাকা। অবশ্য এই ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে খেলতে হলে আরেকটি বাধা অতিক্রম করতে হবে সাকিবের দলকে। খেলতে হবে আরেকটি ম্যাচ।
কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা লড়বে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের শেষ চারের ম্যাচে পরাজিত দলের সঙ্গে। আগামী বুধবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে চিটাগং ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। আফগানিস্তানের আহমেদ শেহজাদ দেশে ফিরে যাওয়ায় এই ম্যাচে ভাইকিংসদের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করতে নামেন নতুন সেনসেশন ইয়াসির আলি। কিন্তু পেসার রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আট রান করে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্ট চালিয়ে খেলতে থাকেন। তাঁর ২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটা থামে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে। ব্যাটিং প্রান্তে থাকা সাদমান ইসলামের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান তিনি।
তবে চিটাগংয়ের বড় স্কোর করার স্বপ্ন ভেঙে যায় অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের আউটে। ব্যক্তিগত আট রানে ইনিংসের দশম ওভারে সুনীল নারিনের বলে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান ভাইকিংস অধিনায়ক। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে নারিন আবার ফিরিয়ে দেন সাদমানকে। অযথা বড় শট খেলতে গিয়ে লং অফে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮১ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চিটাগং।
ষোড়শ ওভারে দলীয় ১০৩ রানে ঢাকার বাঁহাতি পেসার কাজী অনিকের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান দাসুন সানাকা। তবে পরের ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে চিটাগংকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেন সুনীল নারিন। উইকেটের আশপাশে চারজন ফিল্ডার দিয়ে ঘিরে রেখে চাপ সৃষ্টি করলে দুই দক্ষিণ আফ্রিকান রবি ফ্রাইলিংক ও ভিজয়েন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। আর কোনো ব্যাটসম্যান উল্লেখযোগ্য স্কোর না পেলে ১৩৫ রানে থামে ভাইকিংসদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪০ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।