ধোনির ব্যাটিং-বীরত্বে সমতায় ভারত
সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছিল না মহেন্দ্র সিং ধোনির। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছিলেন। দলও একের পর এক পরাজয়ের গ্লানিতে ডুবে যাচ্ছিল। ভারতের সফলতম অধিনায়কের অধিনায়কত্ব পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিল। সব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতেই দিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। ধোনির অপরাজিত ৯২ রানের এক অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২ রানে হারিয়েছে ভারত। বুধবার পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ‘টিম ইন্ডিয়া’কে ১-১ সমতায় ফেরাতে ধোনির চমৎকার নেতৃত্বের ভূমিকাও কম নয়।
অথচ ইন্দোরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভীষণ বিপদে পড়ে যাওয়া ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছিল আরেকটি হারের শঙ্কা। আগের ম্যাচে ১৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা রোহিত শর্মাকে (৩) ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই বোল্ড করেছেন কাগিসো রাবাদা। রানের জন্য সংগ্রাম করে চলা বিরাট কোহলি (১২) আবারও ব্যর্থ। এবার রান আউটের খাঁড়ায় কাটা পড়তে হয়েছে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানকে। যাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কোহলি রান আউট হয়েছেন, সেই অজিঙ্কা রাহানে অবশ্য আস্থার সঙ্গেই খেলছিলেন। কিন্তু রাহানের দৃঢ়তাভরা ৫১ রানের পরও ১২৪ রানে ৬ রানে হারিয়ে দুর্ভাবনায় পড়ে গিয়েছিল ভারত।
তবে ধোনির দারুণ ব্যাটিংয়ে দুর্ভাবনা দূর হতে সময় লাগেনি। ভুবনেশ্বর কুমারের (১৪) সঙ্গে ৪১ আর হরভজন সিংয়ের (২২) সঙ্গে মাত্র ৪২ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন ধোনি। দলকে ৯ উইকেটে ২৪৭ রানের পুঁজি এনে দেওয়ার সিংহভাগ কৃতিত্ব তাঁরই। ম্যাচসেরা ধোনির ৮৬ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসটা গড়ে উঠেছে ৭টি চার ও চারটি ছক্কায়।
জবাবে ৫২ রানে দুই ওপেনার হাশিম আমলা (১৭) ও কুইন্টন ডি কককে (৩৪) হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি (৫১) ও জেপি ডুমিনি (৩৬)। কিন্তু ১২ বলের ব্যবধানে এ দুজনের বিদায়ের পর আর পেরে ওঠেনি অতিথিরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে শেষ হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকানদের ইনিংস। তিনটি করে উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ে বড় অবদান ভুবনেশ্বর কুমার ও অক্ষর প্যাটেলের।
১৮ অক্টোবর রাজকোটে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।