বিয়ে করলেন মুস্তাফিজ
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ। সময় তখন দুপুর আড়াইটা। প্রাইভেটকার থেকে ঘিয়ে রঙের শেরওয়ানি পরা বর নামলেন। বরের চোখেমুখে হাসির বন্যা। বরকে ঘিরে আগ্রহের কমতি নেই। বরের নাম যে মুস্তাফিজুর রহমান! ক্রিকেট বিশ্বের প্রিয় ফিজ!
আজ শুক্রবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজ।
বরের বাড়ি কালীগঞ্জের তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রাম। সেখান থেকে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস আর মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেয় বরপক্ষ। গন্তব্যস্থল দেবহাটা উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের হাদিপুর এলাকার জগন্নাথপুর গ্রাম। সেখানেই অপেক্ষায় ছিলেন কনে সুমাইয়া পারভিন শিমু। আনন্দঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয় তাঁদের বিয়ে। এরপর ছিল মধ্যাহ্ণভোজের আয়োজন।
কনের বাড়িতে আগে থেকেই চলছিল সাজসাজ রব। বিয়েবাড়িতে নেমেই ক্ষীর খেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বরযাত্রী বহরের সঙ্গে মুস্তাফিজ তাঁর বাবা আবুল কাসেম আর মা মাহমুদা খাতুনকে নিয়েই পৌঁছালেন কনে সুমাইয়া পারভিন শিমুর বাড়িতে।
বরকে সোজা নিয়ে যাওয়া হলো বাড়ির দোতলায়। সেখানে একটি কক্ষে অপেক্ষমাণ সবাই। সময় তখন ৩টা ছুঁই ছুঁই। মুস্তাফিজের মাথায় উঠল টোপর। বিবাহ রেজিস্ট্রার দেবহাটার নোয়াপাড়ার কাজী আবুল বাসার তখনো অপেক্ষায়। অনুমতি নিয়ে অবশেষে কলেমা পড়ালেন বর ও কনেকে। রেজিস্ট্রি কাগজপত্রে স্বাক্ষর করালেন। সাক্ষী হলেন কাটার-মাস্টারের বড় ভাই মাহফুজুর রহমান মিঠু।
পাঁচ লাখ এক টাকার দেনমোহরে বাঁধা পড়লেন মুস্তাফিজুর রহমান আর সুমাইয়া পারভিন শিমু।
বর ও কনের স্বজনরা জানিয়েছেন, একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রাথমিকভাবে শেষ করা হয়েছে এই বিয়ে। এরপর ধুমধাম করে অনুষ্ঠান হবে বিশ্বকাপের পর। তখন জানানো হবে সবাইকে।
শিমু সম্পর্কে মুস্তাফিজের মামাতো বোনও। তিনি ২০১৮ সালে দেবহাটার সখিপুর খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজ থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। এর আগে ২০১৬ সালে নলতা হাইস্কুল থেকে তিনি গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করেন এসএসসি। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করছেন শিমু।