আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে জহির খানের বিদায়
চোটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে জহির খান। মাঠে ফেরার সুযোগ পাওয়া গেলেও খাপ খাইয়ে নিতে যে সমস্যা হতে পারে, তা বোধ হয় ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন ভারতের এই বাঁহাতি পেসার। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী জহির। তবে আগামী বছর আইপিএলে অংশ নেবেন তিনি।
২০০০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর দ্রুতই ক্রিকেট-বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন জহির। দীর্ঘদিন ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন। কিন্তু চোট বারবার থামিয়ে দিয়েছে তাঁকে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে খেলার পর চোটে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়ে থাকল জহিরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া যে সহজ ছিল না, এক বিবৃতিতে সেটা জানিয়ে জহিরের মন্তব্য, ‘ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় হলো খেলা থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া। আপনি সব সময়ই চাইবেন, আরো খেলে যেতে। কিন্তু দীর্ঘ দুই দশক খেলার পর শরীর আর সাড়া না-ও দিতে পারে।’ তবু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন জহির। শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি, ‘আমি আগামী মৌসুমের জন্য অনুশীলন করছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি যে আমার কাঁধের পক্ষে দিনে ১৮ ওভার বোলিং করার ভার নেওয়া সম্ভব নয়। আমি বুঝতে পারছি যে বিদায়ের সময় এসে গেছে।’
জহির খানের টেস্ট অভিষেকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০০০ সালের নভেম্বরে তাঁর প্রথম টেস্ট ছিল বাংলাদেশেরও অভিষেক টেস্ট। তার মাসখানেক আগেই অবশ্য ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল জহিরের। ৯২টি টেস্ট খেলে ৩১১টি উইকেট নিয়ে তিনি ভারতের অন্যতম সফল বোলার। টেস্টে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় তাঁর অবস্থান চতুর্থ।
ওয়ানডে ক্রিকেটেও জহির সফল। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান ছিল তাঁর। ২১টি উইকেট নিয়ে সেই বিশ্বকাপের সফলতম বোলার তিনিই। ওয়ানডেতে ২০০ ম্যাচ খেলে তাঁর উইকেট-সংখ্যা ২৮২টি।