ক্রিকেট মাঠ থেকে মিয়ামি ওপেন জয়

দুই বছর বিরতির পর ২০১৬ সালে টেনিস কোর্টে প্রত্যাবর্তন করেন অ্যাশলে বার্টি। আগের দুই বছর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলেন ২২ বছর বয়সী বার্টি। তবে ক্রিকেটে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পেয়ে আবার টেনিস কোর্টে ফিরে আসাটা এভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তা হয়তো অস্ট্রেলিয়ান তরুণী নিজেও ভাবেননি। শনিবার টেনিসের প্রমীলা র্যাঙ্কিংয়ে সাবেক নাম্বার ওয়ান ক্যারোলিনা পিসকোভাকে পরাজিত করে মিয়ামি ওপেন টেনিসের প্রমীলা এককের শিরোপা জিতে নিয়েছেন বার্টি।
বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা চেক রিপাবলিক তারকা পিসকোভাকে হারিয়ে আরো একটি সুসংবাদ পেয়েছেন অ্যাশলে বার্টি। ২০১৩ সালে সামান্থা স্টোসারের কীর্তির পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নারী খেলোয়াড় হিসেবে টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে উঠছেন বার্টি। শনিবার সম্ভাবনাময়ী অস্ট্রেলিয়ান তরুণী যখন মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে পিসকোভার মুখোমুখি হন, তখন সবার বাজি পিসকোভার পক্ষেই ছিল। কিন্তু বাজির দান উল্টে দিতে মাত্র এক ঘণ্টা ৪২ মিনিট সময় নেন বার্টি। ৭-৬, (৭-১), ৬-৩ সেটে ফাইনালটা জিতে নেন এই অসি টেনিস খেলোয়াড়।
ফাইনালের প্রথম সেটে এগিয়ে ছিলেন পিসকোভাই। তবে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ফিরে আসেন বার্টি। শেষ চার গেমে মাত্র পাঁচটি পয়েন্ট হারান বার্টি। তাঁর এমন দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে আর কুলিয়ে উঠতে পারেননি ২৭ বছর বয়সী পিসকোভা।
ফাইনাল জিতে দারুণ চমক দেখানো বার্টি বলেন, ‘আমাকে শারীরিকভাবে শক্ত থাকতে হয়েছে এবং যথেষ্ট বল প্রয়োগ করতে হয়েছে। চেয়েছিলাম যত বেশি সংখ্যক পারা যায় শট নিতে এবং আমার জুতা জোড়া সক্রিয় রাখতে।’