প্লাতিনির সঙ্গে ‘ভদ্রলোকের চুক্তি’র দাবি ব্ল্যাটারের
টানা পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ঠিক চারদিন পর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সেপ ব্ল্যাটার। তবে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। বিশ্ব ফুটবলের একসময়ের ‘দণ্ডমুণ্ডের কর্তা’ অবশ্য সেই সুযোগ পাচ্ছেন না। ‘অপরাধমূলক’ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্ল্যাটারের পাশাপাশি উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। যে কারণে দুজনকে সাময়িকভাবে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফার নীতিনির্ধারক কমিটি। যদিও ব্ল্যাটারের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। প্লাতিনিকে ২০ লাখ ডলার দেওয়া নিয়ে যে ঝামেলা, সেটা ‘ভদ্রলোকের চুক্তি’ ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
স্বদেশ সুইজারল্যান্ডের একটি গণমাধ্যমকে ব্ল্যাটার বলেছেন, ‘প্লাতিনির সঙ্গে আমার একটা চুক্তি ছিল। আর তা ছিল ভদ্রলোকের চুক্তি। এটা বাস্তবায়িত হয়েছিল। তবে এর পূর্ণ বিবরণ দিতে পারছি না। কারণ এটা নিয়ে দুটো তদন্ত চলছে।’ এরপর প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞেস করেন নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি করা হয়েছিল কি না। ব্ল্যাটারের জবাবও ছিল সোজাসাপ্টা, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। সব কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছিল।’
কিছু দিন আগে সুইস সরকার অভিযোগ করেছিল, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্লাতিনির সঙ্গে ২০ লাখ ডলারের ‘অনৈতিক’ লেনদেন করেছিলেন ব্ল্যাটার। যদিও ফিফার দাবি, ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্লাতিনি ফিফার হয়ে যে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তারই পারিশ্রমিক হিসেবে এই ২০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাটার নিজেও এখন তেমন দাবিই করছেন।
সাক্ষাৎকারে প্লাতিনি ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ব্ল্যাটার। তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘আমার কোনো ফুটবল স্টেডিয়ামে যাওয়ার অধিকার নেই। তবে যার সঙ্গে ইচ্ছে কথা বলার অধিকার আছে। আমি সাইডলাইনে নেই, শুধু সাময়িক বরখাস্ত হয়েছি।’ আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিফার কংগ্রেসে উপস্থিত থেকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করার অঙ্গীকারও করেছেন ব্ল্যাটার, ‘আমার লক্ষ্য ফিফা কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করা। এটাই এখন আমার প্রধান উদ্দেশ্য। আমি মনে করি না যে এটা ভেস্তে যাবে।’