সহজ জয়ে রূপগঞ্জের শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আরেকটি সহজ জয় তুলে নিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আজ বুধবার উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল শীর্ষস্থানে থাকা দলটি। ম্যাচটির দিকে আলাদা নজর ছিল ক্রিকেটভক্তদের। প্রায় আড়াই মাস পর রূপগঞ্জের হয়ে এই ম্যাচ দিয়েই মাঠে ফিরেছেন জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসারের প্রত্যাবর্তনটা একেবারে পানসে হলেও দারুণ জয় তুলে নিয়েছে তাঁর দল। উত্তরাকে ৯ উইকেটে বিধ্বস্ত করেছে লিজেন্ডরা।
মিরপুরে টসে জিতে বোলিং বেছে নেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই উত্তরার ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফিরিয়ে দিয়ে অধিনায়কের মুখে হাসি ফোটান ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার ঋষি ধাওয়ান। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর ওয়ানডাউনে নামা শানাজ আহমেদকে নিয়ে ৮১ রানের জুটি গড়েন ওপেনার আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৪তম ওভারে ৫৫ রান করা ইমনকে আউট করে জুটিটা ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ। ওই ওভারের শেষ বলে শানাজকেও ফিরিয়ে দেন নাবিল।
নিজের পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে চার নম্বরে নামা মোহাইমেনুলকেও ফিরিয়ে দেন নাবিল সামাদ। ৯৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে উত্তরা। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মিনহাজুল ও অধিনায়ক শাকির হোসেন ৬৯ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ৩৭ রানে মিনহাজুল ও ৩৩ রান করে শাকির বিদায় নিলে উত্তরার বড় স্কোর করার স্বপ্ন ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে দলটি। রূপগঞ্জের নাবিল সামাদ ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পান। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে পাঁচ ওভার বোলিং করে ৩৬ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি তাসকিন।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ আস্থার সঙ্গে শুরু করেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও মোহাম্মদ নাঈম। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। ২৫তম ওভারের প্রথম বলে ৬৩ রান করা নাঈম আউট হন। ৭৭ বলে নয়টি চার ও একটি চারে নিজের ইনিংস সাজান নাঈম। এরপর মুমিনুল হককে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৫ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন মেহেদী মারুফ। ১১৪ বলে সমান দুটি চার-ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন মারুফ। ৫৩ বলে পাঁচটি চারে অপরাজিত ৪৭ রান করেন জাতীয় দলের তারকা মুমিনুল।
দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন রূপগঞ্জের বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ।