এবার আফ্রিদির দিকে তোপ দাগালেন গম্ভীর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/05/05/photo-1557039028.jpg)
‘বুম বুম’ খ্যাত পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’ বাজারে এলে যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠবে, সেটা আগে থেকেই অনুমান করা গিয়েছিল। হয়েছেও ঠিক সে রকমই। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এবং কোচ ওয়াকার ইউনুস ও জাভেদ মিয়াঁদাদকে নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটান ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। আত্মজীবনীতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষদিকে কোচ হিসেবে পাওয়া ওয়াকারকে ‘ভয়ংকর কোচ’ হিসেবে আখ্যা দেন আফ্রিদি। এছাড়া কোচ হিসেবে পাওয়া আরেক কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ক্রিকেট মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে সম্পর্কটা বরাবরই তিক্ত ছিল আফ্রিদির। নিজের বইয়ে গম্ভীরকে ‘ক্রিকেটের লজ্জা’ হিসেবে আখ্যা দেন আফ্রিদি।
তবে সমালোচনাটা মোটেও মুখ বুঁজে সহ্য করেননি ভারতীয় সাবেক ওপেনার। পাল্টা তোপ দাগিয়ে আফ্রিদিকে মানসিক রোগীর সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। শনিবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে আফ্রিদির সমালোচনার জবাব দিয়ে টুইট করেন বিজেপির হয়ে দিল্লি থেকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা গম্ভীর। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বীকে খোঁচা দিয়ে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আফ্রিদি, তুমি কত উচ্ছল মানুষ! যাই হোক, আমরা চিকিৎসার জন্য এখনো পাকিস্তানিদের ভিসা দিয়ে থাকি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তোমাকে একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাব।’ অর্থাৎ, পাকিস্তানের তারকাকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত বলে সমালোচনার জবাব দেন গম্ভীর।
আফ্রিদি ও গম্ভীরের মধ্যে সমস্যাটা অবশ্য অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। প্রায় এক যুগ আগে ২০০৭ সালে কানপুরে এক ওয়ানডে ম্যাচে দুজনের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। এরপর ক্রিকেট ও দুই দেশের রাজনীতির বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন দুজন। সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনীতে গম্ভীরকে একহাত নেন আফ্রিদি। ভারতীয় ওপেনার সম্পর্কে লিখেন, ‘গম্ভীর এমন আচরণ করে, যেন ডন ব্র্যাডম্যান বা জেমস বন্ড সে। আমি সাধারণত ইতিবাচক মানুষদের পছন্দ করি। তারা যদি আগ্রাসী হয়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু গম্ভীর মোটেও ইতিবাচক নয়, পুরোপুরি নেতিবাচক একজন মানুষ।’
গম্ভীরকে দাম্ভিক ক্রিকেটার বলে দাবি করে পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক লিখেন, ‘সে খুবই দাম্ভিক। মানসিকতায়ও সমস্যা আছে তাঁর, কোনো ব্যক্তিত্ব নেই। সে এমন একজন মানুষ, যাঁকে ক্রিকেটের লজ্জা বলা যায়। ওর রেকর্ডও তেমন কিছু নয়, কিন্তু অহেতুক দাম্ভিক সে।’
গত ২৫ এপ্রিল পাকিস্তান ও ভারতে একযোগে প্রকাশিত হয় শহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার।’ আলোচিত বইটিতে আফ্রিদি জানান, তাঁর প্রকৃত বয়স পাসপোর্ট ও পিসিবির প্রোফাইলে উল্লেখিত বয়সের চেয়ে পাঁচ বছর বেশি। পাকিস্তান দলের সাবেক কোচ ওয়াকারের তীব্র সমালোচনার করে আফ্রিদি নিজের আত্মজীবনীতে লিখেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে অতীত ছাড়তে পারেনি। সে ছিল সাধারণ মাপের অধিনায়ক, কিন্তু খুব ভয়াবহ কোচ।’
নিজের আত্মজীবনীতে সাবেক কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদেরও কড়া সমালোচনা করেন আফ্রিদি। ১৯৯৯ সালে ভারত সফরের সময় দলে থাকা আফ্রিদিকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। বলেন, ‘মিয়াঁদাদ আমাকে দল থেকে বের করে দিতে ব্যাপক চেষ্টা করেন। এমনকি ভারতের বিপক্ষে টেস্টের আগে দলের অনুশীলনেও আমাকে অংশ নিতে দেননি তিনি।’