আবার নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেইমারের ওপর!
ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে হারের পর একজন সমর্থকের সঙ্গে হাতাহাতি করার জের গুনতে হচ্ছে ব্রাজিলীয় তারকা স্ট্রাইকার নেইমরাকে। তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর তারকাকে। আগামী ১৩ মে থেকে নেইমারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ঘরোয়া ফুটবলের শেষ দুটি লি ম্যাচ এবং ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আরো একটি ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না নেইমার।
এই কদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে রেফারির সমালোচনা করায় চ্যাম্পিয়নস লিগেও তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন নেইমার। এর ফলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজ দলের প্রথম তিনটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই তারকা ফরোয়ার্ড। নেইমারের দল পিএসজি এবার রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকে বাদ পড়লেও, ফরাসি লিগ ওয়ানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলবে।
উল্লেখ্য, মার্চে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ম্যানইউর মুখোমুখি হয় পিএসজি। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে পিএসজির ডি-বক্সে প্রেসনেল কিমপেম্বে হ্যান্ডবল করেছেন, এই মর্মে ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে রেফারি দামির স্কোমিনা পেনাল্টি দেন ম্যানইউকে। পেনাল্টি থেকে মার্কাস রাশফোর্ড গোল করলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। আর এই পেনাল্টি নিয়েই ইনস্টাগ্রামে ক্ষোভ ঝারেন নেইমার।
ম্যাচশেষে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে নেইমার লিখেন, ‘এটা রীতিমতো লজ্জাজনক। ভিএআরের প্যানেলে পর্যালোচনার জন্য এমন চারজনকে বসিয়ে রাখা হয়, যারা ফুটবলের কিছুই বোঝে না। এটা পেনাল্টি হওয়া সম্ভব নয়। একজন মানুষ তাঁর হাত কীভাবে পেছনে রাখবে?’ এরপর অকথ্য ভাষায় রেফারিকে গালমন্দ করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। নেইমারের এই সমালোচনাকে ভালো চোখে দেখেনি উয়েফা। তাই ঘটনার বিস্তারিত পর্যালোচনা করে এই তারকার তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।