জয়ের ধারায় ফিরল বার্সেলোনা

স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনার। তখনো হাতে ছিল তিনটি ম্যাচ। তবে লিগে টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর গত সপ্তাহে সেল্টা ভিগোর কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় বার্সা। তবে কাতালান দলটির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। লিভারপুলের বিপক্ষে ৪-০ গোলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন ভেস্তে যায় মেসি, সুয়ারেজদের। তবে দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে আবার জয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে গেটাফেকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে আর্নেস্তো ভেলভার্দের দল।
রোববার রাতে ঘরের মাঠে এ মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলতে নামে বার্সেলোনা। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া সুয়ারেজ বাদে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই একাদশ সাজায় বার্সা। ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় ভেলভার্দের দল। তবে খেলার ধারার বিপরীতে গোল খেতে বসেছিল তারাই। ম্যাচের ১২ মিনিটে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড মোলিনা বার্সার গোলরক্ষক সিলেসেনকে একা পেয়েও পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলে সুযোগ নষ্ট হয় গেটাফের। মিনিট ১৫ পর সেই মোলিনা বার্সার জালে বল পাঠালে উল্লাসে মাতে গেটাফে শিবির। তবে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে হতাশ হতে হয় অতিথি দলটিকে।
এরপর আস্তে আস্তে খেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে বার্সা। প্রথমার্ধের খেলার ছয় মিনিট বাকি থাকতে এগিয়ে যায় কাতালানরা। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক থেকে জেরার্ড পিকের হেড ফিরিয়ে দেন গেটাফের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে ঠাণ্ডা মাথায় গোল করেন আর্তুরো ভিদাল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ভেলভার্দের দল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ খেলতে থাকে বার্সেলোনা। তবে এই অর্ধে অন্তত দুটি নিশ্চিত গোল পেতে ব্যর্থ হয় কাতালান শিবির। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ম্যালকম গোলবারের কয়েক গজ দূর থেকে গোলরক্ষকের বরাবর শট নিলে সুযোগ নষ্ট হয় বার্সার। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে গোলরক্ষককে একা পেয়েও একই ভুল করেন মেসি। তবে ওই বল থেকেই দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ করে গেটাফে। কিন্তু মোলিনার হেড পোস্টে লেগে ফেরত এলে সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় অতিথিরা।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে জয় নিশ্চিত হয় বার্সেলোনার। কাতালানদের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠান গেটাফের রক্ষণভাগের খেলার মাউরো অ্যারামবারি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভেলভার্দের দল। তবে বার্সার জয়ের দিনে লজ্জায় ডুবেছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে খেলতে গিয়ে ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে ফিরেছে জিনেদিন জিদানের দল।