মুশফিকের দারুণ কীর্তি
নতুন কীর্তি গড়তে মাত্র আট রান দূরে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে নেমেই পৌঁছে যান সেই লক্ষ্যে। বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে পূর্ণ করেন ছয় হাজার রান। ইনিংসের ১৫তম ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ছয় হাজারি ক্লাবে পা রাখেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
ছয় হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে ২১৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন মুশফিক। যার মধ্যে রয়েছে সাতটি সেঞ্চুরি এবং ৩৭টি হাফ-সেঞ্চুরি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে ছয় হাজার রান পূর্ণ করতে ৭৫ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। শুক্রবারের (২৬ জুলাই) এই ম্যাচে ৮৬ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে নুয়ান প্রদীপের বলে আউট হওয়ায় মাইলফলকটি অধরা থাকে তাঁর। অবশেষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছাতে পেরেছেন মুশফিক।
অবশ্য ব্যক্তিগত কীর্তি গড়ার পরও থেমে যাননি মুশফিক। দলের বাকিদের আশা-যাওয়ার মিছিলে উইকেট আগলে রেখেছেন। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৩৭তম ওয়ানডে হাফ-সেঞ্চুরি। ৭১ বলের হাফ-সেঞ্চুরিতে ছিল দুটি বাউন্ডারি।
এর আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে ছয় হাজারি ক্লাবে পা রাখার কীর্তি গড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২০২টি ওয়ানডেতে তামিমের সংগ্রহ ছয় হাজার ৮৭১ রান। আর ২০৬ ওয়ানডে খেলা সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ছয় হাজার ৩২৩ রান। যার মধ্যে আছে নয়টি সেঞ্চুরি এবং ৪৭টি হাফ-সেঞ্চুরি।