পিএসজিকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে রিয়াল
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগের মুখোমুখি লড়াইয়ে জমজমাট একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছিল স্পেন ও ফ্রান্সের দুই শীর্ষ দল রিয়াল মাদ্রিদ ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। স্যান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের ম্যাচও ছিল উত্তাপ-উত্তেজনায় ঠাসা। নিজেদের মাঠে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১-০ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল। নিশ্চিত করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব। খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে রিয়ালের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেছেন বদলি হিসেবে মাঠে নামা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার নাচো।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারেননি রিয়ালের দুই তারকা ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেল। এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও পারেননি খুব বেশি জ্বলে উঠতে। ৩৩ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার মার্সেলো ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে আরো বিপদে পড়ে যায় রিয়াল। কিন্তু এই ইনজুরি যে শেষ পর্যন্ত শাপে বর হয়ে যাবে, তা হয়তো তখন কেউই ভাবতে পারেননি। মার্সেলোর বদলি হিসেবে মাঠে নামার দুই মিনিট পরেই গোল করে বসেন ২৫ বছর বয়সী নাচো। এটি ছিল রিয়ালের জার্সি গায়ে তাঁর দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত এই এক গোলের ব্যবধানেই জয় পেয়েছে ১০ বারের শিরোপাজয়ীরা।
রিয়াল জয় পেলেও ম্যাচের বেশির ভাগ সময় বলের দখল ছিল পিএসজির কাছে। রিয়ালের রক্ষণভাগে বেশ কয়েকবার বিপজ্জনকভাবে হামলাও চালিয়েছিলেন এডিনসন কাভানি, জ্ল্বাতান ইব্রাহিমোভিচ, অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ারা। ৩৭ মিনিটে পিএসজির মিডফিল্ডার আদ্রিয়েন রাবিয়োতের ভলি ফিরে এসেছিল পোস্টে লেগে। ৮৯ মিনিটে দি মারিয়ার একটি গোলপ্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়ে গেছে গোলপোস্টে আঘাত হেনে। পিএসজির আরো কয়েকটি গোলপ্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছিলেন রিয়ালের গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেও তাই ম্যাচ শেষে সন্তুষ্ট হতে পারেননি রিয়ালের তারকা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচটা আমাদের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। প্যারিসে গিয়ে ড্র করলেও আমরা অনেক ভালো খেলেছিলাম। এখানে আমরা অনেক শক্তিশালী একটা দলের বিপক্ষে খেলেছি। বলের দখল ও গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে তারা অনেক এগিয়ে ছিল।’
তবে রামোস সন্তুষ্ট না হতে পারলেও অবশ্য রিয়ালের নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে গেছে। চার ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট কেটে ফেলেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের সবচেয়ে সফল এই ক্লাব। অন্যদিকে চার ম্যাচ শেষে পিএসজির সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ক তৃতীয় স্থানে আছে তিন পয়েন্ট নিয়ে।