সামনে জিম্বাবুয়ে, তবু সতর্ক হাথুরুসিংহে
সম্প্রতি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। সেই ক্ষত সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে আফ্রিকার দেশটি। পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তিনটি সিরিজে হারানো বাংলাদেশের জিম্বাবুয়েকে সহজেই হারানো উচিত। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অবশ্য কোনো ধরনের আত্মপ্রসাদে ভুগতে রাজি নন। বাংলাদেশ কোচ মনে করেন, জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না।
তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচ তিনটি হবে ৭, ৯ ও ১১ নভেম্বর। ১৩ ও ১৫ নভেম্বর দুটি টি-টোয়েন্টি। পাঁচটি ম্যাচই হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সব ম্যাচেই জয়ের প্রত্যাশা হাথুরুসিংহের। বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত তিনটি সিরিজে আমরা আধিপত্য বজায় রেখে জিতেছি। আশা করছি এই সিরিজে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব। শুধু জিম্বাবুয়ে নয়, এ মুহূর্তে যে কোনো দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে আমাদের। এই সিরিজে সব ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তারপরও জিম্বাবুয়েকে আমরা হালকাভাবে দেখছি না।’
গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরেও ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের অনেক তফাত আছে বলে মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যে বাংলাদেশ খেলেছিল, সেই দলের সঙ্গে বর্তমান দলের অনেক পরিবর্তন। আমরা এখন যে কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামি।’
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তেমন ভালো খেলতে পারেননি সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তবে বাংলাদেশ কোচের বিশ্বাস, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুজনেই জ্বলে উঠতে পারবেন, “এই দুই তরুণ ক্রিকেটারের ভালো করার সামর্থ্য আছে। ‘এ’ দলের হয়ে হয়তো তারা ভালো করতে পারেনি, তবে আমার বিশ্বাস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। আমি দেখেছি, তারা ছন্দে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করছে।”