চাকরি ছাড়ার সাত বছর পর কারণ জানালেন হাথুরুসিংহে
প্রথম দফায় অনেকটা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে যান জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেসময় গুঞ্জন উঠেছিল যে, কোনো ক্রিকেটার বা বোর্ডের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রায় সাত বছর পর মুখ খুললেন হাথুরুসিংহে।
প্রথম দফায় ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন হাথুরুসিংহে। এরপর হুট করেই চাকরি ছেড়ে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি পডকাস্টে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সেই সময়টায় খুবই বাজে পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল। বোর্ডের দুর্নীতি, ম্যাচ ফিক্সিংসহ নানা ধরণের গুজব ভেসে ভেড়াচ্ছিল। দল জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও হেরেছিল সে সময়। অপরদিকে নিজের দেশকে কোচিং করানো ছিলো আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে।’
হাথুরুসিংহে আরও যোগ করেন, ‘তখন লংকান বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কোচিং করাতে চাই কিনা এবং আমার মনে হচ্ছিলো এটাই সবথেকে ভালো সময়। এই দুটি কারণেই আমি শ্রীলঙ্কায় কোচিং করাতে গিয়েছিলাম।’
হাথুরুসিংহের অধীনে বাংলাদেশের সাফল্য কম নয়। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও সাকিবরা খেলে তার অধীনে। এছাড়াও ২০১৫ সালে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয় ছাড়াও ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। মোটকথা সাফল্যের মালায় গাঁথা ছিল তার প্রথম অধ্যায়।
দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের দায়িত্ব নেন এই লঙ্কান কোচ। এবারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ শান্তরা। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়।