রশিদের স্পিনে ধুঁকছে বাংলাদেশ
রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন সাদমান ইসলাম। লড়াইয়ের আশা জাগায় সৌম্য-লিটন জুটি। সেটাও স্থায়ী হয়নি। বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকারের বিদায়ে ভাঙে ৩৮ রানের সেই জুটি। এর পর একে একে উইকেট বিলিয়ে আসেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগান স্পিনের সামনে রীতিমতো দিশেহারা বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ রান। ৩২ রান নিয়ে উইকেটে লড়ছেন মুমিনুল হক।
আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংসের ৩৪২ রানের জবাবের শুরু থেকেই বিবর্ণ বাংলাদেশের ব্যাটিং। আউট হওয়া প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ০, ১৭, ৩৩, ১১, ০। বাজে শটে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সাদমান। ইনিংস বড় করতে পারলেন না সৌম্যও। ৬৬ বল মোকাবিলা করে ১৭ রান নিয়ে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ নবির বলে। ৩৩ রান করা লিটনকে নিজের প্রথম শিকার বানান রশিদ খান। এরপর আফগান অধিনায়কের বলে কাটা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এলবির ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ১১ রানে মাঠছাড়া করেন রশিদ। একই ওভারের শেষ বলে মুশফিককেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। তাতে দলের মূল ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে কঠিন চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৪২ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ২৭১ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে দলটি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আফগানিস্তান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। আসগর আফগানকে মুশফিকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন। সেঞ্চুরির দুয়ার থেকে ৮ রান দূরে থাকতেই সাজঘরে ফেরেন আসগর। ৯২ রানে আউট হন তিনি। ১৭৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল তিনটি বাউন্ডারি ও দুটি ছ্ক্কা।
আসগরের পর জাজাইকেও টিকতে দেননি তাইজুল। পাঁচ ওভার বাদে জাজাইকে সরাসরি বোল্ড করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ফেরার আগে ৪১ রান করেন জাজাই।
পরের শিকার অবশ্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। ৯ রানে কায়েস আহমেদকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান অধিনায়ক। পাঁচ রানের মাথায় সাকিবের বলে কাটা পড়েন ইয়ামিনও। তার মধ্যে অবশ্য সফরকারীদের রানের গতি বাড়িয়েছেন রশিদ খান। ৬১ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে বেশ ভালো পুঁজি এনে দেন অতিথি অধিনায়ক। রশিদ খানকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে শেষ আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। তাতে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত ব্যাট করতে ৩৪২ রানে থামে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন তাইজুল। নাঈম ১৩ ওভারে ৪৩ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নেন। ৬৪ রান দিয়ে সমান দুটি উইকেট নেন সাকিব। আর একটি করে উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী মিরাজ।