জিততে ইতিহাস গড়তে হবে বাংলাদেশকে

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনেই ৩৭৪ রানের লিড নিয়েছিল আফগানিস্তান। চতুর্থ দিন লক্ষ্য ছিল সেটাকে আরো বাড়িয়ে নেওয়া। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে সেই লক্ষ্য পূরণ হলো না। আজ রোববার বৃষ্টির পর ব্যাট করতে নেমে ২৬০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। তাতে লিডসহ বাংলাদেশের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হবে ইতিহাস। কারণ, চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি টাইগাররা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি টপকে জিততে পারেনি কোনো দল।
গতকাল রাত থেকেই চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আজ রোববার সকালের সময়ও ছিল বৃষ্টির দখলে। যার কারণে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়।
সকাল ১০টার পর বৃষ্টি থামে। অবশ্য বৃষ্টি থামলেও মাঠ তৈরি করতে বেশ সময় লেগেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডসম্যানদের। মাঠ তৈরি হলে অবশেষে ১১টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা।
সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে টেস্টের বাকি সেশনগুলো। দুপুর ১২টার বদলে লাঞ্চ বিরতি হবে দুপুর ১টায়। আর আলো থাকলে অন্তত ৭৩ ওভার খেলা চালানোর চেষ্টা করা হবে।
এরআগে আলোর স্বল্পতার কারণে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে আগেভাগেই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৭ রানে দিন শেষ করে আফগানিস্তান। আফসার জাজাই ৩৪ ও ইয়ামিন আহমেদজাই কোনো রান না নিয়ে অপারিজত থাকেন।
আফগানিস্তানের ৩৪২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ৭০.৫ ওভার খেলে ২০৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামে অতিথিরা।
আফগানদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই দুই উইকেট তুলে নেন সাকিব। প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ইহসানউল্লাহ ও রহমত শাহকে।
ব্যাট করতে নেমে ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন ইহসানউল্লাহ। পরের বলটি ডট। কিন্তু তৃতীয় বলে আর রক্ষা পেলেন না। এলবির ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন চার রানে। পরের বলে আবারও সাকিবের আঘাত। এবারের শিকার আগের ইনিংসে ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরি করা রহমত শাহ। সেঞ্চুরিয়ান রহমত ফিরে যান গোল্ডেন ডাকে।
তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে আফগানিস্তান। ইব্রাহিম জাদরান আর হাসমতউল্লাহ শাহেদি মিলে ২৪ রান যোগ করেন। শেষ পর্যন্ত সেই জুটি ভাঙেন নাঈম। তরুণ এই অফস্পিনারের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়েছেন শাহেদি (১২)।
এরপর ইব্রাহিম ও আসগর আফগান মিলে বাংলাদেশি বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান। হাফ-সেঞ্চুরি স্পর্শ করে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেন অভিষিক্ত ইব্রাহিম। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আসগরও। দুজন মিলে গড়েন ১০৮ রানের জুটি। অবশেষে আসগরকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন তাইজুল। ইব্রাহিমকে ফেরান নাঈম। এরপর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভরকরে ২৩৭ রানে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৫৩ রানে তিন উইকেট নেন সাকিব। ৬১ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাঈম। তাইজুলের শিকার দুই উইকেট।