পাকিস্তানকে কড়া জবাব শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রীর
ভারতের হুমকিতে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে যেতে চায় না। সম্প্রতি এমন কথা বলেছিলেন পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের প্ররোচনাতেই তারা শ্রীলঙ্কায় খেলতে চাইছে না তারা।
এর কড়া জবাব দিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ভারতের উসকানিতেই যে পাকিস্তানে যাবে না শ্রীলঙ্কা, এমন তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ২০০৯ সালের ঘটনার কারণে অনেক খেলোয়াড় সেখানে যেতে চায় না। তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। যাঁদের যেতে আপত্তি নেই, তাঁদের নিয়েই দল তৈরি করা হয়েছে।’
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এই মাসের শেষ দিকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের। আসন্ন সিরিজের দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শ্রীলঙ্কার ১০ ক্রিকেটার। নিরাপত্তাজনিত কারণের না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের পাকিস্তানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ভারতকেই দায়ী করে পাকমন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন লিখেছেন, ‘আমাকে বেশ কয়েকজন ধারাভাষ্যকার জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানে খেলতে গেলে শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের আইপিএল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমন হুমকি অত্যন্ত হীন মানসিকতার পরিচয়।’
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
এই সিরজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ১০ ক্রিকেটার। তারা হলেন – লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, দিনেশ চান্দিমল, সুরাঙ্গা লাকমল, দিমুথ করুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল পেরেরা ও নিরোশান ডিকভেলা।
২০০৯ সালে পকিস্তানের লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের কাছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলকে বহনকারী বাসকে কিছু বন্দুকধারী আক্রমণ করে। সেই সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রায় নিষিদ্ধ ছিল পাকিস্তানের হোম ভেন্যু।
দীর্ঘ বিরতির পর ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের মাধ্যমে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে সাহায্য করে জিম্বাবুয়ে। আয়োজন করা হয় বিশ্ব একাদশের ম্যাচসহ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। সেই ধারাবাহিকতায় এবার লঙ্কান ক্রিকেট দলেরও পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা।