জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ। বল হাতেও আলো ছড়িয়েছেন শফিউল-বিপ্লবরা। তাতে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের সুবাদে চলমান সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল সাকিব আল হাসানের দল। আর টানা তিন পরাজয়ে সিরিজ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো জিম্বাবুয়ের।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৩৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সাইফউদ্দিন। ফিরিয়ে দেন ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলরকে। দ্বিতীয় ওভারে চাকাভাকে ফেরান সাকিব। চতুর্থ ওভারে আবারো জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবারের নায়ক ২০১৭ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা শফিউল ইসলাম। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন উইলিয়ামসকে।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ৪৪ রানের মধ্যে হারায় আরো তিন উইকেট। ৪৪ রান থেকে ৬৬ রানে যেতে হারায় সাত উইকেট। দ্রুত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের হারানোর চাপ কাটিয়ে রানের গতি আর বাড়াতে পারেনি সফরকারীরা। তাতে নির্ধারিত ওভারে শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। অভিষেকে রাঙিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। চার ওভার বোল করে নিয়েছেন দুটি উইকেট। তিন উইকেট করে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম। একটি করে নেন সাইফউদ্দিন ও সাকিব।
এরআগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন কুমার দাস। গত দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে চার উইকেট হারানো বাংলাদেশ আজ উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৪৯ রান। অবশ্য নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি শান্ত। কাইল জার্ভিসের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন ১১ রানে।
ওপেনিং সতীর্থকে হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাস। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিস এমপোফুর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনিও ক্যাচ দিয়ে আসেন। ফেরার আগে দুই ছক্কা আর চার বাউন্ডারিতে ২২ বলে ৩৮ রান করেন লিটন।
এই ম্যাচেও ব্যর্থ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম দুই ম্যাচে ১ ও ১৫ রানের পর এবার ১০ রানে ফিরলেন তিনি।
পরপর তিন উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে চতুর্থ উইকেটের এই জুটি। ছুটতে থাকা এই জুটি থামে দলীয় ১৪৩ রানে। ১৭তম ওভারে মুশফিকের ফেরায় ভাঙে ৭৮ রানের এই জুটি। ফেরার আগে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান করেন মুশফিক।
মুশফিক ফিরেলও উইকেটে টিকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে জিম্বাবুয়ের সামনে ১৭৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬২ রানে থামেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল এক বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কা দিয়ে। এরমাঝে মাত্র ৩৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে বল হাতে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কাইল জার্ভিস। চার ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এমপোফু। এক ওভার বোলিং করে রায়ান বার্লও নেন একটি উইকেট।