বাংলাদেশের যত হোয়াইটওয়াশ
গত বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটের দারুণ এক স্বপ্নযাত্রার সূচনা। এ বছরের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। এরপর ঘরের মাটিতে একে একে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করেছিল মাশরাফির দল। বছরের শেষ প্রান্তে সেই জিম্বাবুয়েকেই হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ যেন পূরণ করল সাফল্যের বৃত্ত। সত্যিই, স্বপ্নের মতো একটি বছর!
urgentPhoto
২০০৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। ঘরের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় করেছিল ৩-২ ব্যবধানে। হোয়াইটওয়াশের আনন্দে মেতে ওঠার মধুর অভিজ্ঞতা হয় পরের বছরের মার্চে। ঘরের আঙিনায় কেনিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের চারটি ম্যাচেই বিজয়ীর মুকুট পরেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সেই বছরের আগস্টে ফিরতি সফরে গিয়ে আবারও কেনিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কোনো টেস্ট দলকে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তিও সেই ২০০৬ সালেই। বাংলাদেশ সফরে এসে পাঁচটি ওয়ানডেতেই হারের লজ্জায় পড়েছিল জিম্বাবুয়ে।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে নিজেদের আরো উঁচুতে নিয়ে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তা-ও আবার ক্যারিবীয়দের মাটিতেই। ২০১০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের সাফল্যের মুকুটে যোগ হয় আরেকটি পালক। এবার বাংলাদেশ সফরে এসে চার ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পায় নিউজিল্যান্ড। তিন বছর পর আবার কিউইরা বিধ্বস্ত। সেবার বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তিন ম্যাচের সিরিজে।
গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ হয় জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ফিরে পেয়ে ওয়ানডে সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই বাংলাদেশকে জয় উপহার দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গত বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে নাস্তানাবুদ হয় পাকিস্তানও, তৃতীয় টেস্ট দল হিসেবে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশের কাছে।
এ ছাড়া ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে স্কটল্যান্ড আর ২০০৮ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।