শততম টেস্ট নিয়ে নির্বিকার ডি ভিলিয়ার্স
শততম টেস্ট প্রত্যেক ক্রিকেটারের জীবনেই স্মরণীয় হয়ে থাকে। ১০০ নম্বর টেস্ট মানেই দুর্দান্ত এক মাইলফলক। শনিবার যে মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাঙ্গালোরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্ট হতে যাচ্ছে তাঁর শততম টেস্ট। তবে এমন একটা দারুণ অর্জনের সামনে দাঁড়িয়েও নির্বিকার প্রোটিয়াদের সেরা ব্যাটসম্যান। ডি ভিলিয়ার্সের কাছে বরং ব্যাঙ্গালোরে জিতে চার ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরানোই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মোহালিতে প্রথম টেস্টে ভারতের স্পিনারদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে ১০৮ রানে হার মেনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে অতিথিরা তাই সমতা ফেরাতে মরিয়া। সেটা এতটাই যে শততম টেস্ট নিয়ে আলাদা করে কিছু ভাবছেন না ডি ভিলিয়ার্স, ‘১০০তম টেস্ট নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চাপে নেই। আমি বরং সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে থাকার জন্যই বেশি চাপ অনুভব করছি। অবশ্য ১০০তম টেস্ট খেলা বিশাল সম্মানজনক ব্যাপার। কারণ আমি জীবনেও ভাবিনি এই পর্যায়ে আসতে পারব। আমি শুধু খেলাটার ওপর একটা ছাপ রাখতে চেয়েছি। দলে আমার ভূমিকা পালন করতে চেয়েছি।’
আধুনিক ক্রিকেটে যে তিনি ভালোই ‘ছাপ’ রেখে চলেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ৯৯ টেস্টে ২১টি শতকসহ ৫১.৯২ গড়ে ৭৬৮৫ রান আর ১৯৫ ওয়ানডেতে ২৩টি শতকসহ ৫৪.২১ গড়ে ৮৪০৩ রানে অবশ্য ডি ভিলিয়ার্সের মাহাত্ম্য বোঝানো মুশকিল। দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ব্যাটসম্যান মাঠে নামাই মানে প্রতিপক্ষ বোলারদের হৃৎকম্প শুরু হয়ে যাওয়া। অসাধারণ উদ্ভাবনী ক্ষমতায় তিনি এমন সব শট খেলেন যার ব্যাখ্যা করা প্রায় অসম্ভব।
আর সে কারণে স্বদেশে তো বটেই, দেশের বাইরেও ডি ভিলিয়ার্স দারুণ জনপ্রিয়। সতীর্থদের কাছেও তাঁর ভীষণ জনপ্রিয়তা। তার অন্যতম কারণ বোধহয় তিনি একেবারে দল অন্তঃপ্রাণ। শততম টেস্টের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও তাঁর মাথায় শুধু একটাই চিন্তা—ব্যাঙ্গালোরে জয়। সিরিজে সমতা ফেরানো ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছেন না ‘এবি’, ‘আমার মনে হয় এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই টেস্টের দিকে মনোযোগ দেওয়া। ১-০তে পিছিয়ে থাকায় আমরা সিরিজে সমতা ফেরাতে চাই। আমি পেছন ফিরে তাকাতে পছন্দ করি না। ক্যারিয়ার শেষে সেজন্য প্রচুর সময় পাওয়া যাবে।’