রোনালদোর মতে মেসিই বর্ষসেরা ফুটবলার
সাত বছর ধরে ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কারটা দুজনের দখলে। এই সাত বছরে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি। রোনালদো তিনবার আর মেসি চারবার।
এবারও সেরা ফুটবলারের পুরস্কার দুই মহাতারকার যে কোনো একজনের হাতে ওঠার জোরালো সম্ভাবনা। রোনালদো নিজে অবশ্য লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিচ্ছেন স্বেচ্ছায়। রিয়াল মাদ্রিদ তারকার ধারণা, এবারের ফিফা ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে মেসির হাতে। আগামী ১১ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক জমকালো অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালের সেরা ফুটবলারের নাম ঘোষণা করা হবে।
নিজের ওপরে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘রোনালদো’র উদ্বোধনী শো উপলক্ষে পর্তুগালের সবচেয়ে বড় তারকা এখন লন্ডনে। সেখানেই যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইটিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান দ্য জোনাথন রস শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন রোনালদো। সেই অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, গত মৌসুমে বার্সেলোনার ট্রেবল জয়ে বিশাল অবদান রাখায় মেসির হাতে পুরস্কারটা ওঠার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, ‘সত্যি বলতে কি আমার মনে হচ্ছে এ বছর মেসিই পুরস্কারটা জিততে যাচ্ছে। কারণ ট্রফি জয়ের ওপরেই ভোট নির্ভর করে। কোনো প্রতিযোগিতা, চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ঘরোয়া লিগ জয় ভোটের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয় অনেক সময়।’
২০১৩ ও ২০১৪ সালে টানা দুবার ফিফা বর্ষসেরা হয়ে এখন তিনি ‘হ্যাটট্রিকে’র সামনে দাঁড়িয়ে। তবে এবার পুরস্কারটা না পেলে একটুও মন খারাপ হবে না বলেই দাবি রোনালদোর, ‘আমি সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছি এখন। ইউরোপের সেরা গোলদাতাও হয়েছি। তবে ভোটের সময় এটা না-ও বিবেচনা করা হতে পারে। আমি অবশ্য পুরস্কারটা নিয়ে চিন্তিতও নই। কারণ আমি অনেকবার বলেছি, তিনবার যে এই পুরস্কারটা জিততে পারব তা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।’
অনেক ফুটবলভক্তের ধারণা, মেসি আর রোনালদোর মধ্যে বোধহয় সম্পর্ক ভালো নয়। তবে রোনালদো জানাচ্ছেন অন্য কথা, ‘আমাদের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক। ফিফার এই মঞ্চ অনেকদিন ধরে আমরা ভাগ করে নিচ্ছি। অতীতে আর কেউ যা করতে পারেনি। এটা সত্যিই দুর্দান্ত ব্যাপার। তার (মেসির) সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক। সে একটি ক্লাবের হয়ে খেলে, আমি অন্য একটি ক্লাবে। আমরা হয়তো ঘনিষ্ঠ বন্ধু নই। তবে একে অন্যকে সম্মান করি।’