যে রেকর্ডে কোহলিকেও পেছনে ফেললেন বাবর
বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে একজন সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ছন্দশীল ব্যাটিংয়ে প্রতিনিয়তই নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক। সময়ের এই সেরা ব্যাটসম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের বাবর আজম।
গতকাল সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন বাবর। এই সেঞ্চুরি স্পর্শ করার মাধ্যমে কোহলিকে পেছনে ফেললেন পাকিস্তানের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারের একাদশতম সেঞ্চুরির দেখা পান বাবর। মাত্র ৭১ ইনিংসেই ১১টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। তাতে দ্রুততম সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চতুর্থতে পিছিয়ে যান কোহলি। সমান ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকাতে কোহলি খেলেছেন ৮২ ইনিংস।
শুধু কোহলি নন, পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদকেও পেছনে ফেলেছেন বাবর। দেশটির হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে ওয়ানডেতে দ্রুততম এক হাজার রানের রেকর্ডও এখন পাকিস্তানের এই সেনসেশনের।
ম্যাচটিতে বাবর আজমের সেঞ্চুরি ও উসমান শিনওয়ারির ৫ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগামীকাল বুধবার একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুদল।
করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর আজম। ৯৭ বলে ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি। ১০৫ বলে চার ছক্কা ও আট চারে ১১৫ রানে সাজঘরে ফিরে যান এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। বাবর ছাড়াও হাফসেঞ্চুরি করেন ফখর জামান। ৬৫ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। ৪৮ বলে ৪০ রান করেন হারিস সোহলে। আর শেষের দিকে ২০ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেন ইফতেখার আহমেদ।
৩০৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উসমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। তবে দল হারলেও শিহান জয়সুরিয়া ও দাসুন শানাকার লড়াইকে মনে রাখবে ক্রিকেটবিশ্ব। ২৮ রানে ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার চরম বিপদে হাল ধরেন তাঁরা। গড়েন ষষ্ঠ উইকেটে ১৭৭ রানের রেকর্ড জুটি। এর আগেরটা ছিল ২০০৮ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চামারা কাপুগেদারা ও চামারা সিলভার ১৫৯ রানের জুটি। কিন্তু জয়সুরিয়া-শানাকার লড়াইয়ের পরও জিততে পারেনি অতিথিরা। নির্ধারিত ওভারের আগেই ২৩৮ রানে থামে লঙ্কানরা। ১০৯ বলে ৯৬ রান করেন জয়সুরিয়া । ৮০ বলে ৬৮ রান করেন শানাকা।