ডি ভিলিয়ার্সের শততম টেস্টে বিপদে প্রোটিয়ারা
জীবনের শততম টেস্টের প্রথম দিনে ব্যাট হাতে একাই লড়লেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাননি। পরে বোলাররাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি। তাই ব্যাঙ্গালোরে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই চাপের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি ভিলিয়ার্সের দৃঢ়তাভরা ৮৫ রানের পরও ২১৪ রানেই শেষ প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। জবাবে বিনা উইকেটে ৮০ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে প্রথম টেস্ট জিতে চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে থাকা ভারত।
আইপিএলে ডি ভিলিয়ার্সের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ‘ঘরের ছেলে’ ব্যাট করার সময় তাই ‘এবিডি’, ‘এবিডি’ চিৎকারে মুখরিত হয়ে উঠল এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারি। প্রোটিয়াদের সেরা ব্যাটসম্যানও চেষ্টা করলেন ভক্তদের প্রত্যাশা মিটিয়ে শততম টেস্টে শতকের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়ার। কিন্তু মাত্র ১৫ রানের জন্য পারলেন না। ১০৫ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৫ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে চা-বিরতির ঠিক আগে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরানোর কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার।
সকালের আর্দ্র পিচ বিরাট কোহলিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার। ভারত অধিনায়কের মুখে কোনো পেসার নন, হাসি ফুটিয়েছেন দুই স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ৫০ রানের বিনিময়ে জাদেজা নিয়েছেন চার উইকেট। যার মধ্যে ছিল ডি ভিলিয়ার্সের সবচেয়ে মূল্যবান উইকেটও। ২০ রান বেশি দিয়ে অশ্বিনের শিকারও চারটি। তাই মোহালি টেস্টের মতো ব্যাঙ্গালোরেও দুই স্পিনারের সৌজন্যে শুরুতেই চালকের আসনে ‘টিম ইন্ডিয়া’।
প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়ে লজ্জাজনক ‘পেয়ার’ পেয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। তবে দ্বিতীয় টেস্টে এই বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাটে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। প্রথম দিনশেষে তিনি ৪৫ রানে অপরাজিত। অন্য প্রান্তে ২৮ রান নিয়ে ব্যাট করা মুরালি বিজয় অবশ্য ভাগ্যবান। ব্যক্তিগত ২১ রানে স্কোয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়েও ইমরান তাহিরের ব্যর্থতায় বেঁচে গেছেন তিনি। দুর্ভাগা বোলারের নাম মর্নে মরকেল।
চোটের কারণে ডেল স্টেইন ও ভার্নন ফিল্যান্ডার খেলতে পারছেন না এই ম্যাচে। বিজয়ের সেই ভুল ছাড়া প্রতিপক্ষের খর্বশক্তির বোলিং আক্রমণ মোকাবিলা করতে তেমন সমস্যা হয়নি ভারতের দুই ওপেনারের।