নাটকীয় ম্যাচে তামিমদের হারাল সাকিবরা
বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা, বিপিএল যে দারুণ উত্তেজনা ছড়াবে তার আভাস পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচেই। দারুণ নাটকীয়তায় জমজমাট এক উদ্বোধনী ম্যাচ উপহার দিয়েছেন রংপুর রাইডার্স ও চিটাগাং ভাইকিংসের ক্রিকেটাররা।
১৮৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৩ রানের মাথায় চারটি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল সাকিব আল হাসানের দল রংপুর রাইডার্স। সেই সময় মনে হয়েছিল সহজ জয়ই পাবে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংস। তবে শেষপর্যায়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন পাকিস্তানের টেস্ট দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি। নাটকীয়তায় পূর্ণ ম্যাচে দুই উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
মোহাম্মদ আমিরের দারুণ বোলিংয়ের মুখে ১৩ ওভার শেষে রংপুরের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল পাঁচ উইকেটে ৯৪ রান। চিটাগাংয়ের জয়টা মনে হচ্ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। তবে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকলেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মিসবাহ ও থিসারা পেরেরা। মাত্র ৩৫ বল খেলে তাঁরা যোগ করেন ৮০ রান। শেষ ১২ বলে ২২ রানের লক্ষ্যটা খুব বেশি অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু শুরুর মতো আবারও বল হাতে জ্বলে ওঠেন আমির। নাটকীয়তা বাড়িয়ে দিয়ে ১৯তম ওভারে টানা দুই বলে আউট করেন পেরেরা ও মিসবাহকে। ৩৯ বলে ৬১ রান করে আউট হন মিসবাহ। পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৪৩ রানের দারুণ ইনিংস। টানা দুই বলে দুজনই সাজঘরে ফেরায় ম্যাচ আবারও ঘুরে যায় চিটাগাংয়ের দিকে। কিন্তু শেষপর্যায়ে ৭ বলে ১৮ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ড্যারেন স্যামি।
স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর দারুণ নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন আমির। নিজের প্রথম ওভারে কোনো রান দেননি। দ্বিতীয় ওভারে রংপুর রাইডার্সকে জোড়া ধাক্কা দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স (১) ও সৌম্য সরকারের (২০) উইকেট। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মোহম্মদ মিথুন (০)। পঞ্চম ওভারে রংপুরকে খাদের কিনারে ঠেলে দেন শফিউল ইসলাম। আউট করেন রংপুরের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে (১)। পঞ্চম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়ে বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে ছিলেন আল-আমিন ও মিসবাহ। কিন্তু জয়ের জন্য যে দ্রুতগতিতে রান সংগ্রহ করা দরকার ছিল, সেটা তাঁরা করতে পারেননি। আর ১৩তম ওভারে এই জুটি ভেঙে চিটাগাংকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন এল্টন চিগুম্বুরা। ৩৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান আল-আমিন।
চার ওভার বল করে ৩০ রানের বিনিময়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন আমির।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৩২ বলে ৫১, তিলকারত্নে দিলশানের ২৯, এনামুল হকের ৩৬ ও জীবন মেন্ডিসের ১৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংসগুলোর সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১৮৭ রান জমা করেছিল চিটাগাং ভাইকিংস।