মুশফিকদের বিপক্ষে তামিমদের নাটকীয় জয়
প্রথম ম্যাচের মতো চিটাগং ভাইকিংসের দ্বিতীয় ম্যাচেও থাকল দারুণ উত্তেজনা আর নাটকীয় পরিস্থিতি। তবে গত ম্যাচের মতো অবশ্য আর হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়নি তামিমের দলকে। মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে মাত্র এক রানের জয় পেয়েছে চিটাগং ভাইকিংস।
জয়ের জন্য ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দিলশান মুনাবিরার ৩০ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল সিলেট। ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে অধিনায়ক মুশফিকও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন দলকে জেতানোর। কিন্তু শেষপর্যায়ে শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ আমিরের দারুণ বোলিংয়ে ১ রানের ঘামঝড়ানো জয় পেয়েছে চিটাগং। শেষ ১৮ বলে ২৬ রানের আপাত সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি সিলেট।
মোহাম্মদ আমিরের প্রথম বলে চার মেরে ঝড়ো ইনিংস শুরুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিলেট সুপারস্টার্সের ওপেনার দিলশান মুনাবিরা। শুধু ইঙ্গিতই না, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ছয়টি চার মেরে তুলোধুনো করেছেন তিলকারত্নে দিলশানকে। জুনায়েদ সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে তিনি যোগ করেছিলেন ৬৬ রান। সপ্তম ওভারে প্রথম সাফল্য পেয়েছে চিটাগং। শফিউল ইসলাম বোল্ড করেছেন পাঁচ রান করা জুনায়েদকে। পরের ওভারে সিলেটকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন সাঈদ আজমল। আউট করেছেন মুনাবিরা ও মুমিনুল হককে। চতুর্থ উইকেটে আবার ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালোভাবেই জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক ও নুরুল হাসান। কিন্তু শুরুর মতো আবারও সিলেটকে জোরালো ধাক্কা দেন শফিউল। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ৩২ রান করা নুরুলকে। নিজের পরের ওভারে নাজমুল হোসেন মিলনকেও বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান শফিউল। ১৮তম ওভারে মোহাম্মদ শহীদ রানআউট হয়ে ফিরে গেলে চাপ আরো বেড়ে যায় সিলেটের ওপর। ৩৪ বলে ৫০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিমের ৬৯, ইয়াসির আলীর ৬৩ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছিল চিটাগং ভাইকিংস।