অবশেষে মুশফিকের সিলেটের জয়
বিপিএলের প্রথম পর্ব একদমই ভালো কাটেনি সিলেট সুপারস্টার্সের। চার ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল; তার মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে মাত্র এক রানের ব্যবধানে। তবে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতেই মুশফিকের দলের মাথায় বিজয়ের মুকুট। মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের ছুড়ে দেওয়া ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জ জয় করে প্রথম সাফল্য পেয়েছে সিলেট। রবি বোপারার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চার উইকেটে জিতে প্রথম পয়েন্টেরও মুখ দেখেছে তারা।
পঞ্চম ম্যাচে সিলেটের এটা প্রথম জয়। সমান ম্যাচে মাশরাফির দলের দ্বিতীয় হার।
টানা ১১ টেস্টে অর্ধশতক করে ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডসের পাশে দাঁড়ানো মুমিনুল হক আবারো ব্যর্থ। এবার নয় রান করে বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেছেন তিনি। তবে মুমিনুল ব্যর্থ হলেও অন্য ওপেনার দিলশান মুনাবীরা ভালোই ‘ঝড়’ তুলেছিলেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ২৬ বলে ৩৬ রান করা মুনাবীরার উইকেটও হায়দারের।
৫২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন অধিনায়ক মুশফিক ও ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বোপারা। মাত্র ৫৭ বলে ৮৭ রানে জুটিটাই জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছে সিলেট সুপারস্টার্সকে।
মুশফিককে ফিরতে হয়েছে একটা আক্ষেপ নিয়ে। অর্ধশতক থেকে তিন রান দূরে থাকতে নুয়ান কুলাসেকারার বলে বোল্ড হয়ে গেছেন সিলেট অধিনায়ক। ৩১ বলে ৪৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চারে।
বোপারাও অপরাজিত থেকে মাঠ থেকে ফিরতে পারেননি। জয় থেকে তিন রান দূরে থাকতে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। ৩৮ বলে ৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটিতে চারটি চার আর ছক্কা একটি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য মাত্র চার রান প্রয়োজন ছিল সিলেটের। হায়দার পরপর দুই বলে বোপারা আর শেহান জয়াসুরিয়াকে ফিরিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তবে নাজমুল হোসেন ছক্কা মেরে দলকে এনে দিয়েছেন বহু কাঙ্ক্ষিত জয়। ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হায়দার কুমিল্লার সেরা বোলার।
এর আগে আশার জাইদি (৫৩*), ইমরুল কায়েস (৪৮) আর লিটন দাসের (৪২) দৃঢ়তা ৫ উইকেটে ১৬৪ রানের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে। বোপারা ১৮ রানে চার উইকেট না নিলে সংগ্রহটা আরো বড় হতে পারত।