অভিযোগ-গ্রেপ্তারে আবারও তোলপাড় ফিফা
এ বছরের মাঝামাঝি থেকেই দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে ফুটবল বিশ্ব। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তাকে। বহিষ্কার করা হয়েছে ফিফা ও উয়েফা সভাপতি সেপ ব্লাটার ও মিশেল প্লাতিনিকে। ফিফার এই সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে নতুন করে আসা দুর্নীতির অভিযোগে। গত বৃহস্পতিবার ফিফার আরো ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে।
গত মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে সুইজারল্যান্ডের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ফিফার সাত কর্মকর্তাকে। বুধবার সেই একই হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কনকাকাফের সভাপতি আলফ্রেপো হাওইট ও কনমেবলের সভাপতি হুয়ান অ্যাঞ্জেল নাপোটকে। শুক্রবার পেরুর রাজধানী লিমা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ম্যানুয়েল বুর্গাকে। ২০১০ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুবিধা পাওয়ার জন্য ফিফা কর্মকর্তাদের ৬.৬ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছে এফবিআই।
ফিফায় এখনো ২৭ জন কর্মকর্তা আছেন যাঁরা গত এক দশকে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি ডলার ঘুষ আদান-প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল লোরেত্তা লিঞ্চ। ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্লাটারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড।