‘গেইল একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি’
একের পর এক বিতর্ক আর অভিযোগে ক্রিস গেইল এখন জেরবার। গত সোমবার সরাসরি সম্প্রচারিত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এক নারী সাংবাদিককে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় ১০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। পরদিন আরেক কাণ্ড! গত বিশ্বকাপ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল যখন অস্ট্রেলিয়ায়, তখন নাকি এক নারীকে যৌন হয়রানি করেছিলেন গেইল। তবে এখানেই শেষ নয়! নারীদের সঙ্গে তাঁর অশোভন আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে আরো। দুজন নারী সাংবাদিক গেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন।
ফক্স স্পোর্টসের সাংবাদিক নেরোলি মেডোস তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ২০১১ সালে গেইলের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন গেইল তাঁকে বলেছিলেন, ‘দুঃখিত, তোমার সুন্দর চেহারা দেখে আমি পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি। দয়া করে প্রশ্নটা আবার করবে?’ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলার সময় গেইলের প্রতি বিদ্বেষ চেপে রাখতে পারেননি নেরোলি, ‘তিনি নিয়মিতই এমন করে থাকেন। তিনি একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি। তাঁর আচার-আচরণও ঘৃণ্য।’
নাইন নিউজের সাংবাদিক ইভোন স্যাম্পসনও গেইলের আচরণে ক্ষুব্ধ। টুইটারের মাধ্যমে তাঁকেও ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক। কিন্তু সে প্রস্তাবে সাড়া দেননি ইভোন, ‘আমি কখনো তাঁর সঙ্গে দেখা করিনি। আমার মনে হয়, ক্রিস গেইল একজন নারীলোলুপ। শব্দটা হয়তো অশোভন, তবে তিনি আসলে এ রকমই।’
গত সোমবার হোবার্ট হারিকেনের বিপক্ষে ১৫ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিগ ব্যাশ লিগে মেলবোর্ন রেনেগেডসের সহজ জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন গেইল। আউট হয়ে মাঠের বাইরে আসার পর তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন চ্যানেল টেনের সাংবাদিক মেলানি ম্যাকলফলিন। সাক্ষাৎকারের এক ফাঁকে গেইল বলেছিলেন, ‘প্রথমবারের মতো তোমার চোখগুলো দেখতে খুব ভালো লাগল। আশা করছি, ম্যাচ শেষ হওয়ার পর আমরা কিছু পান করতে পারি। লজ্জা পেও না।’
পরদিন মঙ্গলবার গেইলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক নারী। গত বছর বিশ্বকাপের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে ভীষণ বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। গেইলের অশোভন আচরণে বিরক্ত সেই নারীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া, ‘এ ধরনের ব্যক্তিকে বীরের আসনে বসতে দেখলে আমি রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ি! তিনি নারীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করেন, তাতে বীরত্বের কিছু নেই।’