বায়ার্নের গোলবন্যা, চেলসির বিদায়
বায়ার্ন মিউনিখ উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও চেলসি বিদায় নিয়েছে। প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্রয়ের পর শেষ ষোল দলের লড়াইয়ের ফিরতি লেগে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ককে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। অন্যদিকে চেলসি বাদ পড়েছে না হেরেই। ঘরের মাঠে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই বা পিএসজির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও ‘অ্যাওয়ে’ গোলের নিয়মে ইউরোপের সেরা ক্লাব টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে জোসে মরিনিয়োর দল। পিএসজির মাঠে প্রথম লেগ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে শেষ আটের টিকিট পেয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে প্রথম গোলের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে। ৮১ মিনিটে গ্যারি ক্যাহিল স্বাগতিক দলকে এগিয়ে দেওয়ার পাঁচ মিনিট পর পিএসজিকে সমতায় ফেরান দাভিদ লুইজ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৬ মিনিটে এডেন হ্যাজার্ডের সফল পেনাল্টি আবার এগিয়ে দেয় চেলসিকে। তবে ১১৪ মিনিটে থিয়াগো সিলভার লক্ষ্যভেদ পিএসজিকে শুধু সমতায় ফেরায়নি, শেষ আটেও নিয়ে গেছে।
অন্য ম্যাচে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ আরেনায় শাখতারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বায়ার্ন। প্রতিপক্ষের জালে সাতবার বল জড়িয়ে নিজেদেরই একটা রেকর্ড স্পর্শ করেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। ২০১২ সালে শেষ ষোলর ফিরতি লেগেই সুইজারল্যান্ডের বাসেলকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল বায়ার্ন।
খেলার শুরুতে, তৃতীয় মিনিটে ডিফেন্ডার ওলেক্সান্দ্র কুচারের লাল কার্ডে দশজনের দলে পরিণত হওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি শাখতার। একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধা কাজে লাগিয়ে গোল-উৎসবে মেতে ওঠে বায়ার্ন। টমাস মুলারের দুটি এবং ফ্রাঙ্ক রিবেরি, জেরোম বোয়াটেং, রবার্ত লেভানদভস্কি, হোলগার বাডস্টুবার ও মারিও গোৎসার একটি করে গোল আনন্দে ভাসিয়ে দেয় বায়ার্ন-ভক্তদের।