এসএ গেমসে আশার আলো নেই
আগামী ৫ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলং আর গৌহাটিতে হবে দ্বাদশ দক্ষিণ এশীয় গেমস বা এসএ গেমস। ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’ নামে পরিচিত এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ২২টি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে। কিন্তু হতাশার কথা, এবারের গেমসে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী নয় খোদ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। ক্রীড়া কর্মকর্তারা জোর দিয়ে সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছেন না।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হতে যাচ্ছে এসএ গেমস। ২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ গেমসে স্বাগতিক বাংলাদেশ ১৮টি স্বর্ণ, ২৪টি রুপা ও ৫৫টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল।
কিন্তু এবার তেমন সাফল্যের প্রত্যাশা নেই বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার কণ্ঠে, ‘গতবার আমরা গলফ, কারাতে আর ক্রিকেটেই সাতটি স্বর্ণ পদক জিতেছিলাম। কিন্তু এবার সেই ডিসিপ্লিনগুলো নেই। তাই পদক জয়ের সম্ভাবনার ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে থাকছি।’
এসএ গেমসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট অ্যাথলেটিকস। এর আগে এই ডিসিপ্লিন থেকে তিনবার স্বর্ণ পদক জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এবার খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিশ, ‘দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্বর্ণ পদক জয়ের জন্য যে মানের অ্যাথলেট থাকা প্রয়োজন তা আমাদের নেই। তাই আমরা খুব বেশি আশাবাদী হয়ে উঠতে পারছি না। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অ্যাথলেট এলিডা শিকদার এই গেমসে অংশ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি অংশ নিলে ভালো কিছু করতেও পারি আমরা।’
হতাশার কথা বলছেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীবউদ্দিন আহমেদ চপলও, ‘কিছুদিন আগে আমি শিলং থেকে ঘুরে এসেছি। সেখানকার বর্তমান আবহাওয়ায় আমাদের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। তাই আমি জোর দিয়ে স্বর্ণ পদক জয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না।’
তবে শুটিংয়ে সাফল্য পেতে আশাবাদী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, ‘গতবারের তুলনায় এবার আমাদের পদক জয়ের সম্ভাবনা বেশি। বিশেষ করে পুরুষদের দশ মিটার এয়ার রাইফেলে সাফল্য আসতে পারে। বাকি দশটি ইভেন্টেও ভালো কিছুর আশা করা যায়।’
এবারের এসএ গেমসে আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, বক্সিং, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, কাবাডি, শুটিং, সাঁতার, ভলিবল, তায়কোয়ান্দো, ভারোত্তোলন, কুস্তি, সাইক্লিং, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ফুটবল (পুরুষ), জুডো, টেনিস, হকি, খো খো, উশু ও স্কোয়াশে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। ২৩টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে শুধু নারীদের ফুটবলে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে না।