অবিশ্বাস্য গোলে রাতারাতি বিখ্যাত সুবরি
কয়েক দিন আগেও তাঁর নাম তেমন কেউ জানত না। অথচ এখন ফাইজ সুবরি রীতিমতো বিখ্যাত। হওয়ারই কথা। ফ্রিকিক থেকে সুবরি এমন এক গোল করেছেন যে তাঁকে ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি রবার্তো কার্লোসের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। গোলটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়েছে। প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাওয়া সুবরি পেয়েছেন আর্থিক পুরস্কারও।
গত মঙ্গলবার মালয়েশিয়ান সুপার লিগে পেনাংয়ের হয়ে সুবরির অবিশ্বাস্য গোলটিকে টুইটার আর ইউটিউবে বলা হচ্ছে ‘নাকলবল গোল’। প্রায় ২৫ মিটার দূর থেকে নেওয়া তাঁর ফ্রিকিক প্রথমে বাঁয়ে এবং তার পর ডানে বাঁক খেয়ে পোস্টে লেগে ঢুকে গেছে জালে। ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ব্রাজিলের কার্লোসের ফ্রিকিক থেকেই করা অসাধারণ গোলের স্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছেন সুবরি।
কারো কারো মতে, ২০১৬ সালে সেরা গোলের পুরস্কার পুসকাস ট্রফি সুবরির হাতেই ওঠা উচিত। এই মর্যাদাজনক পুরস্কার পাবেন কি না, তা পরের কথা। তবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছেন মালয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার। পেনাংয়ের প্রাদেশিক সরকার ১০ হাজার রিংগিত (প্রায় দুই হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার) পুরস্কারও দিয়েছে তাঁকে।
পেনাংয়ের ব্রাজিলীয় কোচ জ্যাকসন তিয়াগো তো সুবরির অসাধারণ গোলটা দেখে বিস্ময়াভিভূত। পেনাংয়ের হয়ে সাধারণত ফ্রিকিক নেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার মাথিয়াস কর্দোবা। তবে আগামীতে এই গুরুদায়িত্ব দলের নতুন তারকার ওপর ছেড়ে দিতে চাইছেন তিয়াগো। মালয়েশিয়ান স্টার পত্রিকার সঙ্গে কথা বলার সময় এ প্রসঙ্গে পেনাং কোচের মন্তব্য, ‘মাথিয়াস আমাদের দলের প্রধান ফ্রিকিক বিশেষজ্ঞ। তবে আমি ফাইজসহ অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করি। প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচগুলোতে আমি লক্ষ করেছিলাম, মাথিয়াসের কাছ থেকে বল চেয়ে নিতে বেশ লজ্জা পেত ফাইজ। আমি জানি, ডেড বল পরিস্থিতি কাজে লাগাতে ফাইজ কতটা দক্ষ। আমি সব সময় তাঁকে বলি, ম্যাচের সময় ফ্রিকিক নিতে সে যেন ভয় না পায়। ওর গোলটা এককথায় দুর্দান্ত। আমি চাই, সে এরকম আরো অসাধারণ গোল করুক।’
প্রশংসার জোয়ারে ভাসলেও নম্র স্বভাবের সুবরির পা মাটিতেই আছে। রবার্তো কার্লোসের ওই গোলের সঙ্গে নিজের গোলের তুলনায় তাঁর ঘোরতর আপত্তি। অবশ্য গোলটা যে ‘ঝড়ে বক পড়ে’ জাতীয় কিছু ছিল না, জানিয়েছেন সে কথাও, ‘এটাকে আকস্মিক গোল বলা যাবে না। ফ্রিকিকে এ ধরনের শট আমি অনেকবার প্র্যাকটিস করেছি। তবে গোলটার পর সবার এত মনোযোগ পেয়ে আমি বিস্মিত।’