বার্সেলোনায় মেসির পরই বেশি বেতন নেইমারের
নেইমার বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছেন, এমন কথা শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবলারের বাবা অবশ্য বলেছিলেন যে, স্পেনে ট্যাক্স সংক্রান্ত ঝামেলার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নতুন চুক্তি করবেন না নেইমার। তবে সেসব সমস্যা না মিটলেও শেষপর্যন্ত বার্সার সঙ্গে নতুন চুক্তি সেরেই ফেলেছেন ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড। নতুন এই চুক্তির ফলে বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির পরই সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন নেইমার।
২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিলেন নেইমার। বার্সার সঙ্গে তাঁর সেই চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। তবে দুই মৌসুমে নেইমার এত ভালো নৈপুণ্য দেখিয়েছেন যে, তাঁর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদটা ২০২১ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সা। ইএসপিএনের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নেইমারের সঙ্গে বার্সার এই চুক্তিটি হয়েছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। বার্সেলোনা দল তখন জাপানে ছিল ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ খেলার জন্য। কিন্তু এই চুক্তির খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি নেইমারের ট্যাক্স ফাঁকি সংক্রান্ত মামলার জন্য।
২০১৩ সালে নেইমারকে দলে ভেড়ানোর জন্য ৭৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল বার্সেলোনার পক্ষ থেকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে বার্সাকে খরচ করতে হয়েছে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। ট্রান্সফার সংক্রান্ত এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বার্সেলোনার সভাপতির পদও ছাড়তে হয়েছিল সান্দ্রো রাচেলকে।
তবে জটিল আইনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলেও তাঁকে দলে ভিড়িয়ে বার্সেলোনা যে কোনো ভুল করেনি, তা দারুণভাবেই প্রমাণ করেছেন নেইমার। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমে খুব একটা জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে দ্বিতীয় মৌসুমে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে নজর কেড়ে নিয়েছেন ইউরোপিয়ান ফুটবল অঙ্গনের। ২০১৫ সালে বার্সেলোনার পাঁচটি শিরোপা জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন নেইমার। এবারের মৌসুমেও মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক গোল করে চলেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। অনেকেই মনে করছেন যে, খুব দ্রুত মেসি-রোনালদো যুগের অবসান ঘটিয়ে দিতে পারেন নেইমার। ২০১৫ সালে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক। মেসি ও রোনালদোর পর তিনিই পেয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি ভোট। পুরস্কারটা নেইমারের হাতেই উঠছে, এমন দৃশ্য দেখতেও হয়তো খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না ফুটবল বিশ্বকে।