স্যামির নামে ক্রিকেট স্টেডিয়াম
না ব্যাটিং, না বোলিং; কোনো কিছু দিয়েই নজর কাড়তে পারেননি ড্যারেন স্যামি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটসম্যান স্যামি খেলেছেন মাত্র ১৩টি বল। বোলিং করেছেন মাত্র তিন ওভার। তার পরও ক্রিকেটবিশ্বে এখন স্যামিরই জয়জয়কার। তাঁর নেতৃত্বেই যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা। প্রশংসায় ভাসতে ভাসতে নিজ দেশ সেইন্ট লুসিয়াতে পৌঁছে স্যামি পেয়েছেন অভূতপূর্ব সম্মান। দেশটির একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম বদলে ফেলা হয়েছে স্যামিকে সম্মান দেখানোর জন্য।
সেইন্ট লুসিয়ার বোউসেজর ক্রিকেট গ্রাউন্ডকে এখন থেকে ডাকা হবে ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড নামে। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে স্বাগত জানিয়ে স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেনি ডি অ্যান্থনি। ক্লাইভ লয়েডের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে দুটি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন স্যামি। তবে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে দুটি বিশ্বকাপজয়ী লয়েডও এমন সম্মান কখনো পাননি।
স্যামির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাত্র দুজন ক্রিকেটারের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে অ্যান্টিগায় নির্মিত নতুন স্টেডিয়াম উৎসর্গ করা হয়েছিল কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডসের নামে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে আরেক কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার নামেও একটি স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী হয়নি। নিজেদের নামের স্টেডিয়ামে তাই কখনোই খেলা হয়নি রিচার্ডস ও লারার মতো কিংবদন্তির। কিন্তু ৩২ বছর বয়সী স্যামি হয়তো নিজের নামের স্টেডিয়ামে খেলার অভূতপূর্ব সুযোগটি পেয়েও যেতে পারেন।
২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল বোউসেজর ক্রিকেট গ্রাউন্ডের যাত্রা। এটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম স্টেডিয়াম, যেখানে ওয়ানডে ম্যাচ খেলা হয়েছিল ফ্লাডলাইটের আলোয়। ২০০৬ সালের সেই ম্যাচে ১৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। শুধু অধিনায়ক স্যামিই নন, সেইন্ট লুসিয়ার আরেক তারকা কার্লোস ব্রাফেটও পেয়েছেন যথাযথ সম্মান। ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডের একটি স্ট্যান্ড উৎসর্গ করা হয়েছে ফাইনালের নায়ক ব্রাফেটের নামে।