পানামা পেপারসে যা বলা হয়েছে মেসির নামে
স্পেনে কর ফাঁকির মামলায় অনেকদিন ধরেই ফেঁসে আছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। মাঠে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখালেও আদালতের ঝামেলা পিছু ছাড়ছে না এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের। এরই মধ্যে আবার নতুন করে অর্থ কারচুপির অভিযোগ উঠেছে মেসির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসে বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর মানুষদের সঙ্গে উঠে এসেছে মেসির নাম।
পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের এক কোটি ১৫ লাখ নথি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে বিশ্ব অঙ্গনে। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে। আরো অনেক দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত। পানামা পেপারসে নাম থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে হচ্ছে ফুটবল তারকা মেসিকেও। ফাঁস হওয়া নথি থেকে দেখা গেছে, পানামার একটি কোম্পানিকে ব্যবহার করে কর ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পাঁচবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। এটা করতে মেগাস্টার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছিলেন মেসি ও তাঁর বাবা হোর্হে মেসি। এ সংক্রান্ত একটি দলিলও প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল কনফিডেনশিয়াল। সেখানে মেসি ও তাঁর বাবা; দুজনেরই স্বাক্ষর আছে। তবে এর আগে স্পেনে কর ফাঁকির মামলা চলার সময় এই কোম্পানির কথা কখনোই উল্লেখ করেননি মেসি।
মেসির পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। পানামার যে কোম্পানির কথা বলা হয়েছে, সেটা পুরোপুরি অকার্যকর ছিল এবং সেখান থেকে কোনো আর্থিক লেনদেন করা হয়নি বলে দাবি মেসির পরিবারের। মাঠের বাইরের এসব চলমান বিতর্কের সময় অবশ্য নিজের ক্লাব, বার্সেলোনার সমর্থন খুব ভালোমতোই পাচ্ছেন মেসি। আর্থিক কারচুপির এই অভিযোগ মোকাবিলায় মেসিকে সব ধরনের সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে।
মেসি অবশ্য আগে থেকেই ফেঁসে আছেন কর ফাঁকির মামলায়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কর ফাঁকির অভিযোগের শুনানি আবার শুরু হবে ৩১ মে থেকে। ২০১৩ সালের আগস্টে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪০ লাখ ইউরো পরিশোধ করেছিলেন মেসি। কিন্তু এতেও নিষ্কৃতি মেলেনি স্প্যানিশ আদালতের কাছ থেকে। শেষপর্যন্ত দোষী প্রমাণিত হলে দুই বছরের জেলও হতে পারে এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের।