ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন রানী মুগুরুজা
চার বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে এর আগে একটা গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে উঠেছিলেন গার্বিনে মুগুরুজা। গত বছর উইম্বলডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে গিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে। এবার সেই সেরেনাই মুগুরুজার কাছে পরাস্ত। শনিবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককের ফাইনালে মার্কিন তারকা তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি। স্পেনের মুগুরুজা জিতেছেন সরাসরি ৭-৫, ৬-৪ গেমে।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, ২১টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী সেরেনাই ছিলেন ফাইনালের ফেভারিট। তবে অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে থাকলেও উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে তা কাজে লাগাতে পারেননি। মুগুরুজা জিতেছেন নিজের যোগ্যতায়। প্রথম রাউন্ডের প্রথম সেট হেরে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে টানা ১৪টি সেট জিতে নিয়েছেন তিনি। এই পরিসংখ্যানই বোঝাচ্ছে, রোলাঁ গাঁরোতে ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন রানীর কতটা আধিপত্য ছিল এবার।
একসময় ফ্রেঞ্চ ওপেনের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাফায়েল নাদাল। ক্লে-কোর্টের একমাত্র গ্র্যান্ড স্লামে রেকর্ড নয়টি শিরোপাজয়ীর আরেক নাম ‘কিং অব ক্লে’। এবার অবশ্য চোটের কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে নাদালকে। তবে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি স্পেনকে। সে জন্য দারুণ খুশি ২২ বছর বয়সী মুগুরুজা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘এটা স্পেনের জন্য বিশাল টুর্নামেন্ট। আর রাফা (নাদাল) হলেন আমাদের চ্যাম্পিয়ন।’
শনিবার সাফল্য পেলে ২২টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী জার্মান কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের পাশে দাঁড়াতে পারতেন সেরেনা। ব্যর্থ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মন খারাপ। ৩৪ বছর বয়স হয়ে গেলেও লড়াই করার প্রতিজ্ঞা বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের কণ্ঠে, ‘আমি শুধু একটা কাজই করতে পারি। আর তা হলো চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আজ অবশ্য গার্বিনে অবিশ্বাস্য খেলেছে। আজ কী কী ভুল হলো, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে আমাকে। এখান থেকে কী শিখতে পারলাম, তা-ও জানতে হবে।’