দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ শারাপোভা
এ বছরের শুরুতে ডোপ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন মারিয়া শারাপোভা। না জেনেই গ্রহণ করেছিলেন নিষিদ্ধ একটি ড্রাগ। এ জন্য গত ১২ মার্চ টেনিস অঙ্গন থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল রাশিয়ার এই তারকাকে। আর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে শারাপোভার ওপর আরোপ করা হয়েছে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। তবে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের (আইটিএফ) এ সিদ্ধান্ত কিছুতেই মানতে পারছেন না শারাপোভা। সিদ্ধান্তটা খুবই ‘রূঢ় ও অনায্য’ বলে মনে করছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই টেনিস তারকা।
গত ২৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালের পর ড্রাগ পরীক্ষায় উতরাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন শারাপোভা। তাঁর শরীরে ধরা পড়েছিল নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলোডোনিয়ামের উপস্থিতি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই এই ড্রাগ ব্যবহার করছিলেন শারাপোভা। তবে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এটিকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিল ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ)। এটি যে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, সেটা জানতেন না বলেই দাবি করেছিলেন শারাপোভা। না জেনে নিষিদ্ধ এই ড্রাগ গ্রহণ করেছিলেন বলে শারাপোভার শাস্তি অনেক কমে যাবে বলেই ধারণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইটিএফ। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে এখন শারাপোভাও হুমকি দিয়েছেন পাল্টা আপিল করার। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, আমি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল কিছু করিনি। তারপরও তাঁরা আমাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন। আমি এই অনায্য ও রূঢ় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছি না।’ দুই বছরের এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে ক্রীড়াবিষয়ক বিশেষ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন শারাপোভা।
ডোপ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনাটি গত জানুয়ারি মাসে ঘটেছিল বলে সে সময় থেকেই গোনা শুরু হবে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। আপিলের মাধ্যমে শাস্তি কমাতে না পারলে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত টেনিস-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে হবে শারাপোভাকে। দুই বছরের এ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শারাপোভা আবার টেনিস কোর্টে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা টুইটারে লিখেছেন, ‘শারাপোভা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছে। এখান থেকে ফেরাটা খুবই কঠিন হবে।’