‘মেসি’ ‘মেসি’ চিৎকারে রোনালদোকে বিদ্রূপ!
এমনিতেই পেনাল্টি মিস করে মনমেজাজ খারাপ ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তার ওপর মাঠ থেকে ফেরার সময় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বিদ্রূপ। আর সেই বিদ্রূপও কিনা সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসির নাম নিয়ে! শনিবারের রাতটা একদমই ভালো কাটেনি রোনালদোর। নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি। তাঁর দল পর্তুগালও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে।
এবারের ইউরোতে দারুণ এক অর্জনের হাতছানি নিয়ে খেলতে এসেছেন রোনালদো। মাত্র একবার লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতার চারটি আসরে গোল করার অনন্য কীর্তি গড়বেন তিনি। কিন্তু দুই ম্যাচ খেলে ফেললেও পর্তুগাল অধিনায়ক এখনো প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পাননি। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোল করতে পারেননি। অস্ট্রিয়াও হতাশ করেছে তাঁকে।
অবশ্য গোল না পাওয়ার জন্য রোনালদো নিজেই দায়ী। ম্যাচের ৭৮ মিনিটের সময় অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার মার্টিন হিন্টারএগার রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলে বেজে উঠেছিল পেনাল্টির বাঁশি। গোলরক্ষক রবার্ট আলমার বিপরীত দিকে ঝাঁপ দিলেও রোনালদো গোলের দেখা পাননি। বল ফিরে এসেছে সাইডবারে লেগে।
কোপা আমেরিকায় মেসি নিজে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। অথচ রোনালদো গোল করার সবচেয়ে সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। এমন অস্বস্তিকর সময়ে তাঁর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। খেলাশেষে রোনালদো যখন মাঠ থেকে ফিরছিলেন, অস্ট্রিয়ার সমর্থকরা ‘মেসি’ ‘মেসি’ বলে চিৎকার করে ব্যঙ্গ করছিল তাঁকে।
গোল না পেলেও মাঠে নেমেই একটা রেকর্ড অবশ্য গড়েছেন রোনালদো। লুইস ফিগোকে পেছনে ফেলে পর্তুগালের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন তাঁর অধিকারে। সাবেক তারকা ফিগো খেলেছিলেন ১২৭টি ম্যাচ। শনিবার রোনালদো নামলেন ১২৮তম ম্যাচে।
তবে এই রেকর্ড নিয়ে তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার মোটেও আপ্লুত নন। খেলাশেষে বরং পেনাল্টি মিসের দুঃখই বেশি বেজেছে রোনালদোর কণ্ঠে, ‘নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে একটা বড় লক্ষ্যপূরণ হলো। তবে সেই সঙ্গে আমি ভীষণ দুঃখিতও। আমি পেনাল্টিসহ বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি। পুরো ম্যাচে অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম আমরা। কিন্তু গোল করতে পারিনি।’