মেসিকে ছুঁতে পারবেন রোনালদো?
দুই ফুটবল মহানায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা কারো অজানা নয়। একজন কোনো ম্যাচে জোড়া গোল করলেই দেখা যায়, অন্যজনও নিজের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন। একজনের হ্যাটট্রিকের জবাব অন্যজন দিচ্ছেন তিন গোল করেই। এখন তাই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওপর বিশাল চাপ। গতকাল লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনা ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সেল্টিককে। আজ রাতে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবন। রোনালদো কি পারবেন নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে তিন গোল করে মেসির হ্যাটট্রিকের জবাব দিতে?
কাল হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে এক হিসাবে পেছনে ফেলে দিয়েছেন মেসি। এতদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ পাঁচটি হ্যাটট্রিক যৌথভাবে ছিল মেসি আর রোনালদোর। সেল্টিকের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডটা এককভাবে এখন বার্সেলোনা তারকার দখলে।
অবশ্য সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোনালদোর অবস্থান সবার ওপরে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোল ৯৩টি। আর কালকের হ্যাটট্রিকের পর মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৬টি।
গত শনিবার চোট কাটিয়ে ঠিক দুই মাস পর মাঠে ফিরেই সাফল্য পেয়েছিলেন রোনালদো। স্প্যানিশ লা লিগায় ওসাসুনার বিপক্ষে মাঠে নামার ছয় মিনিটের মধ্যে গোল করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা। সেদিন অবশ্য তিনি পুরো ম্যাচ খেলেননি, মাঠ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন ৬৬ মিনিটের সময়।
স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক মার্কার ইঙ্গিত, আজ ৭০ মিনিট খেলতে পারেন রোনালদো। তবে রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদানের পুরো ম্যাচই খেলানোর ইচ্ছা রোনালদোকে। সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি কিংবদন্তি বলেছেন, ‘তাকে (রোনালদোকে) ৯০ মিনিট খেলানোর পরিকল্পনা আছে আমার। আমি অবশ্য খেলার সময় বাদে অন্য কিছু নিয়ে ক্রিস্টিয়ানোর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কারণ সে সব সময় ৯০ মিনিটই খেলতে চাইবে। আমাকে মনে রাখতে হবে যে সে দুই মাস মাঠের বাইরে ছিল। একজন খেলোয়াড়ের জন্য এটা দীর্ঘ সময়। তবে সে (পুরো ম্যাচ) খেলতে প্রস্তুত। দেখা যাক কী হয়!’
রোনালদোর ফুটবল-জীবন শুরু হয়েছিল স্পোর্টিং লিসবনে, শৈশবে ক্লাবটির অ্যাকাডেমিতে। তবে স্বদেশের ক্লাবটির মূল দলে মাত্র একটি মৌসুম কাটিয়েছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।