ব্ল্যাটার ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছেন : ম্যারাডোনা
সেপ ব্ল্যাটারের প্রতি ডিয়েগো ম্যারাডোনার বিদ্বেষের কথা ফুটবল-দুনিয়ায় কারো অজানা নয়। প্রায়ই ফিফা সভাপতির দিকে সমালোচনার তীর ছুড়ে দেন আর্জেন্টিনার ফুটবল-কিংবদন্তি। জর্ডানে একটি ফুটবলবিষয়ক কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে আবারো এই সুইসের দিকে তোপ দাগলেন ম্যারাডোনা। তাঁর অভিযোগ, ব্ল্যাটারের কারণে ফুটবলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফায় যে ‘নৈরাজ্য’ চলছে, তা দূর করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব ব্ল্যাটারের বিদায় জরুরি বলে অভিমত ম্যারাডোনার।
আগামী ৩০ মে ফিফা সভাপতি নির্বাচন। তার আগে এশিয়ার ফুটবল-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জর্ডানের সকারেক্স এশিয়ান ফোরামে যোগ দিয়ে ‘বোমা’টা ফাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। নির্বাচনে জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন সরে আসার চিন্তাভাবনা করছেন। ম্যারাডোনা অবশ্য তাঁকে সব ধরনের সমর্থন দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে কিং হুসেইন কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এই ফোরামে ম্যারাডোনার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, ‘প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন কি ফিফার যোগ্য সভাপতি হতে পারবেন?’ কোনোরকম দ্বিধা না করে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়কের জবাব, ‘তিনি যে ভালো সভাপতি হতে পারবেন, এ বিশ্বাস না থাকলে আমি নিশ্চয়ই এখানে আসতাম না।’
তারপরই ব্ল্যাটারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন ম্যারাডোনা, ‘ফুটবলবিশ্বের সবাই জানে, ফিফার ভেতরে পুরোপুরি নৈরাজ্য চলছে। সেখানে শুধু একজন মানুষ সবকিছুর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তিনি আসলে কিছুই জানেন না। আর তাই এখন পরিবর্তনের সময় এসেছে।’
৭৯ বছর বয়সী ব্ল্যাটার পঞ্চমবারের মতো ফিফা সভাপতি হওয়ার জন্য লড়াই করছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ফুটবলের সবচেয়ে বড় সংগঠনটির ‘অধীশ্বর’কে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ম্যারাডোনা, ‘এখানে (ফিফায়) আসার পর থেকে তিনি ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছেন। এখন তাঁর সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’
ফিফার দুর্নীতি-অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে ম্যারাডোনা বলেছেন, ‘একসময় আমরা জানতেই পারিনি, বিশ্বকাপ কোথায় হতে যাচ্ছে। এর পর আমরা দেখতে পেলাম, ব্রাজিলের পর রাশিয়া এবং তার পর কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক। ব্ল্যাটার যে ভয় পেয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি আতঙ্কিত। লাভের বখরা না পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছেন তিনি। আমার মতো চারটি বিশ্বকাপ খেলা একজন মানুষ এমন ঘটনায় বিরক্ত হবেই। আমি আজীবন বলের পেছনে দৌড়েছি আর ব্ল্যাটার শ্যাম্পেনের পেছনে!’