জিততেই হবে রিয়াল মাদ্রিদকে
কোপা দেল রে বা স্প্যানিশ কিংস কাপের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে আগেই। স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। এ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের শেষ ভরসা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবে সেখানেও বাধার প্রাচীর। ফাইনালে উঠতে হলে বুধবার রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে জুভেন্টাসকে হারাতেই হবে রিয়ালকে। জুভেন্টাসের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হেরে যাওয়ায় স্পেনের সফলতম দলের সামনে এখন কঠিন পরীক্ষা।
রিয়াল মাদ্রিদ মানেই তারকা ফুটবলারদের ঝলকানি। বিশাল খরচ করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর গ্যারেথ বেলকে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিয়ে এসে দুই-দুবার ট্রান্সফার ফির রেকর্ড গড়েছে মাদ্রিদের জগদ্বিখ্যাত ক্লাবটি। গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা হামেস রদ্রিগেজ আর বায়ার্ন মিউনিখ থেকে কুশলী মিডফিল্ডার টনি ক্রুজকে নিয়ে এসে দলকে সমৃদ্ধ করেছে আরো।
তবু শূন্য হাতে এই মৌসুম শেষ করার আশঙ্কায় রিয়াল। কোপা দেল রে থেকে বিদায় নিয়েছে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। লা লিগায় দুই ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে পিছিয়ে আছে চার পয়েন্টে। এমন নড়বড়ে অবস্থার মধ্যেই জুভেন্টাসের মুখোমুখি হতে হচ্ছে রিয়ালকে। এই সংকটময় মুহূর্তে আত্মবিশ্বাস না হারানোর পরামর্শ দিয়ে সতীর্থদের প্রতি ডিফেন্ডার দানি কারভাহালের আহ্বান, ‘আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে, অস্থির হওয়া চলবে না।’
২০০২-০৩ মৌসুমে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল জুভেন্টাস। সেবার স্বদেশের এসি মিলানের কাছে টাইব্রেকারে হেরে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। বুধবার ড্র করলেই বার্লিনের ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে তুরিনের ‘ওল্ড লেডি’। প্রতিপক্ষের মাঠে এই তথ্য মাথায় নিয়েই নামবে জুভেন্টাস। যে দলটিকে গোল দেওয়া ভীষণ কঠিন। পোস্টের নিচে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন। ইতালির জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাবের হয়ে টানা চার মৌসুম একসঙ্গে খেলায় জর্জো কিয়েল্লিনি, আন্দ্রেয়া বার্জাগলি ও লিওনার্দো বোনুচ্চির মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের জালে মাত্র ছয়বার বল প্রবেশই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। ছন্দে থাকা কার্লোস তেভেজ, আলভারো মোরাতা, পল পগবারাও রিয়ালের ডিফেন্সে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারেন।