অ্যানফিল্ডে জেরার্ডের বিষাদময় বিদায়
গত ১৭ বছরে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে লিভারপুলের। ইংল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটিতেঅনেকে যোগ দিয়েছেন। ছেড়ে চলেও গেছেন অনেকে। শুধু স্টিভেন জেরার্ড ছিলেন অবিচল-অনড়। শৈশবে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর কখনো অন্য দলের হয়ে খেলেননি। অবশেষে প্রিয় ক্লাব ছেড়ে যোগ দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে। বিদায়টা অবশ্য সুখকর হলো না জেরার্ডের।শনিবার রাতে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে জেরার্ডের শেষ ম্যাচে তাঁর দল ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হেরে গেছে ৩-১ গোলে।
ম্যাচশেষে গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে বিদায়ী বক্তব্যে জেরার্ড বলেছেন, ‘আমার খুবই অদ্ভুত লাগছে। এই মুহূর্তটাকে ভয় পাচ্ছিলাম। এখানে প্রতিটা মিনিটই আমি উপভোগ করেছি। খুব খারাপ লাগছে ভেবে যে আমি এই সমর্থকদের সামনে আর কখনো খেলব না। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই ক্লাবের যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সতীর্থ, সাবেক খেলোয়াড়দের কারণেই আমি আজ এই অবস্থায় এসেছি।’
আগামী মাসে জেরার্ড পাড়ি জমাচ্ছেন লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে। ১৯৮৭ সালে মাত্র সাত বছরে বয়সে পা রেখেছিলেন অ্যানফিল্ডে। ১৯৯৮ সালে জায়গা করে নেন লিভারপুলের প্রথম একাদশে। ‘অল রেড’দের জার্সি গায়ে ৭০৯টি ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১৮৬টি। লিভারপুলে খেলেই তাঁর যশ-খ্যাতি, ইংল্যান্ড জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সম্মান অর্জন।
তবে একটা আক্ষেপ নিয়ে লিভারপুল ছাড়তে হচ্ছে এই পরিশ্রমী মিডফিল্ডারকে। কখনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের মধুর স্বাদ পাননি জেরার্ড। ২০০৫ সালে অবশ্য উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিলেন। সেবার উয়েফার বর্ষসেরা ক্লাব ফুটবলারের পুরস্কারও উঠেছিল তাঁর হাতে।