ফিফা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ফিগো
ফিফার বর্তমান পরিচালনা পদ্ধতির কড়া সমালোচক লুইস ফিগো। ফুটবল-উন্নয়নের প্রত্যয় নিয়ে ফিফার আসন্ন সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন পর্তুগালের সাবেক তারকা ফুটবলার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য শুধু ফিগো একা নন, এই নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নেদারল্যান্ডস ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইকেল ফন প্রাগও। তাই আগামী ২৯ মের নির্বাচনে ফিফার দীর্ঘদিনের সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের একমাত্র প্রতিপক্ষ জর্ডানের প্রিন্স আলী বিন আল হুসেইন।
১৯৯৮ সাল থেকে ফিফা সভাপতির দায়িত্বে থাকা ৭৯ বছর বয়সী ব্ল্যাটার বেশ কিছুদিন ধরেই দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির অভিযোগে জেরবার। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করার অঙ্গীকার করেই নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ফিগো। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র সপ্তাহখানেক আগে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে পর্তুগালের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে ফিফার সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়াব না।’ বর্তমান ভোটপদ্ধতির সমালোচনা করে ফিগো আরো লিখেছেন, ‘আমি নিজের চোখে এমন অনেক ফেডারেশন সভাপতিকে দেখেছি, যাঁরা ফিফার নেতাদের শয়তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। অথচ তার কয়েক দিন পর তাঁরা সেই একই মানুষকে তুলনা করছেন যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে। এ কথা আমাকে কেউ বলেনি, আমি নিজের চোখেই দেখেছি।’
ফিফা সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীরা কেন ইশতেহার প্রকাশ করেন না—এমন প্রশ্নও তুলেছেন ফিগো, ‘২৯ মের নির্বাচনের জন্য কোনো প্রার্থীই একটা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশের তাগিদ অনুভব করলেন না। এটা কি স্বাভাবিক? ইশতেহার প্রকাশ করা কি বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত ছিল না? যেন ফেডারেশনের সভাপতিরা জানতে পারেন, তাঁরা কিসের জন্য ভোট দিচ্ছেন?’
এবারের ফিফা নির্বাচন ব্ল্যাটার-যুগের অবসান ঘটাতে পারে বলে অনেকের ধারণা। সে তালিকায় আছেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ফন প্রাগও। ডাচ ফুটবলের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি সমর্থন দিচ্ছেন প্রিন্স আলীকে। আমস্টারডামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সেপ ব্ল্যাটারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো যথেষ্ট ভোট পাবে আলী।’