সিদ্দিকুরের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়
এ বছর পাঁচটি এশিয়ান ট্যুর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে চারটিতেই ‘কাট মিস’ মানে, তৃতীয় রাউন্ডে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে, সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না সিদ্দিকুর রহমানের। এই ব্যর্থতা মাথায় নিয়েই আবার গলফ কোর্সে নামছেন বাংলাদেশের সেরা গলফার। বুধবার থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে শুরু হতে যাচ্ছে বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন। দেশের প্রথম এশিয়ান ট্যুর গলফে সিদ্দিকুরের একটাই লক্ষ্য—শিরোপা!
এ প্রতিযোগিতায় দুটি এশিয়ান ট্যুর জয়ী সিদ্দিকুরসহ ২৫টি দেশের ১৫০ জন গলফার অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩১ জন। সিদ্দিকুর ছাড়া আরো নয়জন এশিয়ান ট্যুর চ্যাম্পিয়নকে দেখা যাবে এ আসরে।
প্রিয় মাঠে প্রথম এশিয়ান ট্যুর খেলতে যাচ্ছেন সিদ্দিকুর। এটা তাঁর জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের গলফের সবচেয়ে বড় তারকা, ‘নিজের চেনা মাঠে খেলব বলে স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি মনোবল থাকবে। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া অসম্ভব নয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভালো কিছু করতে পারব।’
বেশ কিছুদিন ধরে চোট ভীষণ ভোগাচ্ছে সিদ্দিকুরকে। পিঠের পুরোনো ব্যথা এখনো সেরে যায়নি। কব্জিতেও ব্যথা আছে। চোট তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে দুটো এশিয়ান ট্যুর চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘চোটের কারণে অনুশীলন তেমন ভালো হয়নি। এখন অবশ্য আমি অনেকটাই সুস্থ। ঘরের মাঠে খেলব, তাই সব প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে ভালো কিছু করতেই হবে আমাকে।’
এ বছর মালয়েশিয়ান ওপেন, থাইল্যান্ড ক্ল্যাসিক, ইন্দোনেশিয়ান মাস্টার্স, ইন্ডিয়ান ওপেন ও মরিশাস ওপেনে অংশ নিয়ে চারটিতেই ‘কাট মিস’ করেছেন সিদ্দিকুর। ইন্ডিয়ান ওপেনে গতবার চ্যাম্পিয়ন হলেও এবার তাঁর অবস্থান ছিল সপ্তম। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি নিজেও চিন্তিত, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি যে এ বছরটা আমার ভালো কাটছে না। তবে একজন খেলোয়াড়ের জীবনে খারাপ সময় আসতেই পারে। আমারও হয়তো এখন খারাপ সময় যাচ্ছে। তবে নিজের মাঠে খারাপ সময় থেকে বেরিয়ে আসার দারুণ সুযোগ আমার সামনে। আশা করছি, তা কাটিয়ে উঠতে পারব।’
২০০৭ সালে নিজেকে পেশাদার গলফার ঘোষণার পর এশিয়ান ট্যুর জিততে তিন বছর সময় লেগেছিল সিদ্দিকুরের। ২০১০ সালের ব্রুনেই ওপেন জিতে বাংলাদেশকে উপহার দেন প্রথম এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা। ২০১৩ সালে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবারো দেশকে ভাসিয়ে দেন আনন্দে। তবে এর পর আর কোনো বড় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পারেননি।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়ান ওপেনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল। প্রথম রাউন্ড শেষে শীর্ষে ছিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। কিন্তু শেষ রাউন্ডে ভালো করতে পারেননি। সপ্তম স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার গলফার সিদ্দিকুরকে।