ফারজানার সেঞ্চুরি ম্লান করে সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা
সকালে নেলসনে সৌম্য সরকার দুর্দান্ত সেঞ্চুরির করেও জেতাতে পারেননি দলকে। ১৪ ঘণ্টা ব্যবধানে রাতে পচেফস্ট্রুমে ফারজানা হকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নারীদের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অসাধারণ এক শতক হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারলেন না এই ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার। আট উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে প্রোটিয়ারা।
গতকাল বুধবার (২০ ডিসেম্বর) পচেফস্ট্রুমে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২২২ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ২৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
২২৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের উপর চড়াও হন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দুই ওপেনার লরা ওলভার্ড ও তাজমিন ব্রিটস মিলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিটা ভাঙেন রিতু মনি। ৮৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় তাজমিন ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। পরের ওভারে ফাহিমা খাতুনের বলে বোল্ড হন লরা। ৬৭ বলে ৩ চারে প্রোটিয়া এই ওপেনার ৫৪ রান করেন। বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন অ্যানেকে বোশ ও সুনে লুজ জুটি। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১১৭ রানের জুটির উপর ভর করে ২৯ বল আগে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দলটি। অ্যানেকে ৬৫ ও সুনে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে শামীমা সুলতানা ও ফারজানা হক তোলেন ৪৮ রান। ৫ চারে ২৮ রান করে শামীমা আউট হওয়ার পর মুর্শিদা খাতুন বেশিক্ষণ টেকেননি। ৮ রান করে বিদায় নেন এই ব্যাটার। এরপর নিগার সুলতানাকে সঙ্গী করে খেলতে থাকেন ফারজানা। ফারজানার সঙ্গে ৫৮ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
তবে সবচেয়ে বড় জুটিটা আসে ফারজানা ও ফাহিমা খাতুনের কাছ থেকে। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১০৮ বলে ৯২ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ফারজানা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন। ১৬৫ বলে ১১ চারে ১০২ রানে আউট হন তিনি। ফাহিমা খাতুন ৩ চারে অপরাজিত ৪৬ ও রিতু মনির অপরাজিত ৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে।