মাত্র ৫০ কোটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলো রবি
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছে টেলিকম সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। নতুন করে আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে, এত লম্বা সময়ের জন্য যুক্ত হয়ে রবিকে গুনতে হয়েছে মাত্র ৫০ কোটি টাকা। যা প্রথমবারের স্পন্সর স্বত্বের তুলনায় অনেক কম। প্রথম যাত্রায় বিসিবির সঙ্গে রবি যুক্ত হয়েছিল ৬১ কোটি টাকায়। এত বছর পর সেটা বাড়ার বদলে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটিতে।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রবিকে আগামী সাড়ে তিন বছরের জন্য জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর হিসেবে ঘোষণা করেছে বিসিবি।
নতুন চুক্তিতে কিছু শর্তও যোগ করেছে টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানটি। শর্ত হলো- চলতি বছরে জাতীয় দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক এবং কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা কোন খেলোয়াড় অন্য কোনো টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন না। অর্থাৎ, অন্য টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের কোনোরকম প্রচারণা করতে পারবেন না।
আজ বিসিবির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন ও রবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাজীব শেঠি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজীব শেঠি বলেন, ‘এ দেশের ক্রিকেটের অনেক ‘প্রথম’ সাফল্যের সাথে রবি’র নামটি যুক্ত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি রবি’র ‘‘পারবে তুমিও’’ চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে টাইগাররা আগামীতেও বিশ্বমঞ্চে আরও বড় বড় সাফল্য নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে আবারও নিবিড়ভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে রবি গর্বিত। সব বাধা পেরিয়ে সামনে এগোনোর এ রোমাঞ্চকর যাত্রায় রবিকে সব সময় পাশে পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।’
রবিকে স্বাগত জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে রবি’র মতো প্রতিষ্ঠানকে পাশে পেয়ে বিসিবি আনন্দিত। এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামনের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
এর আগে ২০১৫ সালে প্রথমবার বাংলাদেশ দলের স্পন্সর হয়েছিল রবি। এরপর ২০১৭ সালে আরও তিন বছর মেয়াদ বাড়িয়ে অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত স্পন্সর হয়েছিল দেশের অন্যতম এই মোবাইল অপারেটরটি। কিন্তু এরপর মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই সমঝোতার মাধ্যমে সরে যায় তারা। সেটার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিল জাতীয় দলের একাধিক খেলোয়াড়ের অন্য টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির সঙ্গে ব্যক্তিগত চুক্তি। যে কারণে এবার চুক্তিতে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা।
রবির আগে বাংলাদেশ দলের স্পন্সর ছিল দারাজ। গেল বছরের নভেম্বরে তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর স্পন্সর পায়নি বিসিবি। ফলে গত কয়েক মাস স্পন্সর ছাড়াই মাঠে নেমেছিল লাল-সবুজের দল। এমনকি যুব বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা লড়েছে স্পন্সর ছাড়াই।