ভারতের বিশ্বকাপের দৌড়ে পাঞ্জাবের শশাঙ্ক!
প্রতি বছর আইপিএল এলেই নতুন নতুন মেধা খুঁজে পায় ভারত। অনেক অচেনা ক্রিকেটারও রাতারাতি বনে যান তারকা। অনেকের আবার আইপিএল থেকেই খুলে যায় বিশ্বকাপের দুয়ার। তেমনই একজন হলেন—শশাঙ্ক সিং!
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলা শশাঙ্ক ফিনিশিং কারিশমায় নজর কেড়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীদের। এমনকি আসন্ন টি-টোয়েন্টি ভারতের বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পাওয়ার দৌড়েও ঢুকে গেছেন ৩২ বছর বয়সী ক্রিকেটার। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারানোর ম্যাচে চোখ জুড়ানো ইনিংস উপহার দিয়ে সেই দাবিটা যেন আরও জোরাল করলেন শশাঙ্ক।
গেল রাতেও ইডেন গার্ডেন্সে মাত্র ২৮ বলে ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক। যাতে ছিল আটটি ছক্কার মার, সঙ্গে দুটি বাউন্ডারি। অথচ এই শশাঙ্ককেই ভুলে কিনেছিল প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস। অন্য শশাঙ্ককে কিনতে গিয়ে ভুলে নিয়ে ফেলেছিল শশাঙ্ক সিংকে। আর এমন সুযোগ পেয়ে সেটা হেলায় হারাননি তিনি। সুযোগ বুঝে ঠিকই কাজে লাগালেন সেই সঙ্গে জাতীয় দলের প্রবেশের দাবিও তুললেন।
বর্তমান ভারতীয় দলে এখন এমন একজন ক্রিকেটার দরকার যিনি সময় মতো ভরসার মান রাখবেন। প্রয়োজনে মেরে খেলবেন, আবার ক্রিজে থেকে ইনিংস মেরামত করবেন। মিডল অর্ডারে এমন ক্রিকেটারকেই চাই ভারতের। কারণ, যারা মিডল অর্ডারে নামেন তাদের ইনিংস মেরামতের পাশাপাশি ফিনিশিংয়েও ভূমিকা রাখতে হয়। সেই চিন্তা করলে শশাঙ্ক নিঃসন্দেহে এই তালিকায় থাকতে পারেন।
আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে শশাঙ্ক করেছেন ২৬৩ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেটটাও দারুন, ১৮২.৬৪। এই স্ট্রাইক রেট নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার জন্য দাবিদার বলাই চলে।
যদিও সবকিছু নির্ভর করছে অজিত আগারকারদের ওপর। শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপ দলে নির্বাচকরা অভিজ্ঞতাকেই বেশি মূল্যায়ন দেবে। সেক্ষেত্রে শশাঙ্কদের আশা ভেস্তে যেতে পারে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়াঙ্ক পরাগ, মায়াঙ্ক, অভিষেক শর্মা, হারশিত রানা ও শশাঙ্কদের মতো তরুণরা এবারের আইপিএলে দুর্দান্ত খেলছে। তবে, তাদের স্কোয়াডে সুযোগ দিতে নারাজ নির্বাচকরা। কারণ বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে হুট করেই কাউকে নামিতে দিতে চাইছে না বোর্ড।
বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের বিশ্বকাপে না খেলিয়ে আগে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলানো হবে। কারণ ভবিষ্যতের কথা মাথায় নিয়ে তাদের তৈরি করতে চায় বোর্ড। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে সুযোগ না মিললেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দুয়ার খুলতে পারে শশাঙ্কদের।