লখনৌকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা বেঁচে রইল দিল্লির
দারুণ এক ম্যাচ দেখল অরুন জেটলি স্টেডিয়ামের দর্শকরা। ওয়ান ম্যান শোতে দিল্লি ক্যাপিটালকে প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টের আরশাদ খান। ম্যাচ জমিয়েও পাওয়া হয়নি জয়। শেষ হাসি হেসেছে দিল্লি।
হারলে বিদায় নিশ্চিত, জিতলে তবু বাঁচবে আশা। গ্রুপপর্বে দিল্লির শেষ ম্যাচ হওয়ার জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে দলটি মুখোমুখি হয় লখনৌর। যারা নিজেরাও আছে বাদ পড়ার শঙ্কায়। এই অবস্থায় আইপিএলে দিনের একমাত্র ম্যাচে মঙ্গলবার (১৪ মে) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে লখনৌকে ১৯ রানে হারায় দিল্লি। এতে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও আছে দিল্লির।
ঘরের মাঠ অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি ২০ ওভারে চার উইকেটে ২০৮ রান করে। জবাবে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে থামে লখনৌ।
লক্ষ্যটা বড় ছিল, সঙ্গে ছিল চাপ। চাপ সামলাতে না পেরে মাত্র ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে লখনৌ। ওপেনিংয়ে নামা অধিনায়ক লোকেশ রাহুল পাঁচ রান করে ফেরেন ইশান্ত শর্মার বলে। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক ১২ রান করে ইশান্তেরই শিকার হন।
ওয়ানডাউনে নামা মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাট থেকে আসে পাঁচ রান। তার ইনিংস থামান অক্ষর প্যাটেল। শূন্য রানে ইশান্তের বলে লেগবিফোর হন দীপক হুদা। লখনৌর স্কোর তখন চার উইকেটে ৪৪ রান।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে পড়ে লখনৌ। দলকে লড়াইয়ের প্রেরণা দেন নিকোলাস পুরান। ২৭ বলে ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৬১ রান করেন পুরান। মুকেশ কুমারের শিকার হলে সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। এরপর আরশাদ খান চেষ্টা করেছেন দলকে টেনে নেওয়ার। তবে, রক্ষা হয়নি। আরশাদের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ইনিংসটি জয়ের আশা জাগিয়ে শেষ অবধি কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ১২ পয়েন্ট পাওয়া লখনৌর হাতে অবশ্য আরও একটি ম্যাচ আছে, তবে প্লে-অপে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
দিল্লির পক্ষে চার ওভারে ৩৪ রানে তিন উইকেট পান ইশান্ত শর্মা।
এদিকে, আগে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লির শুরুটা হয়েছে যাচ্ছেতাই। শূন্য রানে আরশাদ খানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক। তবে, অপর ওপেনার অভিষেক পরেলের ব্যাট থেকে আসে হাফসেঞ্চুরি। ৩৩ নাভিন উল হকের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৮ রান করেন পরেল। ওয়ানডাউনে নামা শাই হোপের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৩৮ রান। তাকে ফেরান রবি বিসনয়ী।
আগ্রাসী ঢংয়ে খেলতে থাকা দিল্লির চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। ২৩ বলে ৩৩ করে নাভিনের বলে বিদায় নেন পন্ত। পরের পথটুকু দিল্লিকে এগিয়ে নেন ত্রিস্তান স্তাবস ও অক্ষর প্যাটেল মিলে। এই জুটিতে আসে ২২ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫০ রান।
ঝড়ো গতির এক ফিফটিতে অপরাজিত থাকেন স্তাবস। ২৫ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন তিনি। ১০ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্যাটেল।
লখনৌর পক্ষে নাভিন দুটি এবং আরশাদ ও বিসনয়ী একটি করে উইকেট নেন।