হাতে বল লাগলেও যে কারণে পেনাল্টি পায়নি জার্মানি
ইউরোতে এর আগেও নকআউট পর্ব থেকে বাদ পড়েছে জার্মানি। তবে, এবারই প্রথম কোয়ার্টার থেকে ছিটকে পড়ল আয়োজক দেশটি। স্পেনের কাছে শেষ মুহূর্তের গোলে হারলেও প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগার পরও রেফারির একটি পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে কি আছে উয়েফা আইনে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
স্পেন-জার্মানি ম্যাচের তখন ১০৫ মিনিট। জামাল মুসিয়ালার নেওয়া শট হাতে লাগে স্পেন ডিফেন্ডার মার্ক কুকুরেয়ার। সাথে সাথে মুসিয়ালা রেফারিদের দিকে ছুটে গেলেন পেনাল্টির আবেদন নিয়ে। তবে রেফারি অ্যান্টনি টেইলর ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন এটা পেনাল্টি না। ভিএআরেও অটল থাকে রেফারির সিদ্ধান্তেই। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
রেফারিরা সাধারণত পেনাল্টি দেওয়ার সময় খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্য এবং হাতের অবস্থান বিবেচনা করেন। কুকুরেয়ার ক্ষেত্রে, তার হাত শরীরের দিকে এবং উল্লম্ব অবস্থানে ছিল। এই অবস্থানটি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ধরেননি। তার হাতের উল্লম্ব অবস্থানের কারণে, রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী, ‘হাত যদি তোলা অবস্থায় (অনুভূমিক) থাকে তবে সেটি বলের গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে, তখন রেফারি কিংবা ভিএআর এর স্পটকিক নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উচিত। অবশ্য শেষ ষোলোতে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রায় একই রকম অবস্থায় ডেনমার্ক ডিফেন্ডার জোয়াকিম এন্ডারসনের বেলায় পেনাল্টির কল দিয়েছিলেন রেফারি।
সেসময় দীর্ঘক্ষণ ভিএআর চেকের পর ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। এর পেছনের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয় এন্ডারসেনের হাত ছিল আড়াআড়িভাবে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ইউয়েফা থেকে এই নিয়মের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
হারের পর সংবাদ সম্মেলনে হ্যান্ডবল নিয়ে রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন জার্মানির কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। গোলের পথে থাকা বল প্রতিপক্ষের হাতে লাগলেও কীভাবে হ্যান্ডবল হয় না সেই প্রশ্ন তুলে নাগেলসমান মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তি এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে।