লর্ডসে শুরু লর্ডসে শেষ—মাঝখানে অনন্য অ্যান্ডারসন
লর্ডস টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১১৪ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচটিতে অবশ্য জয় পরাজয় ছাপিয়ে মূখ্য হয়ে উঠেছিল অন্য কিছু। বলা ভালো অন্য একজন। তিনি জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন। যাকে আদর করে সতীর্থ ও ভক্তরা ডাকত ‘জিমি’ বলে। আজ শুক্রবারের (১২ জুলাই) পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যিনি অতীত।
‘ক্রিকেটের মক্কা’-খ্যাত লর্ডস টেস্ট তাই যতটা ইংলিশদের ছিল, তারচেয়ে বেশি ছিল ৪২ বছর বয়সী অ্যান্ডারসনের। নিজের শেষ ম্যাচেও বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন জিমি। গতির ঝড় না থাকলেও যতক্ষণ বল করেছেন, গ্যালারি মেতেছিল আনন্দ উল্লাসে। দুই ইনিংস মিলিয়ে তুলেছেন ক্যারিবিয়দের চার উইকেট। শেষ টেস্টেও উইকেটের কী দারুণ ক্ষুধা!
গত ১০ জুলাই শুরু হওয়া লর্ডস টেস্ট তিন দিনেরও কম সময়ে শেষ হয়েছে। দুই ইনিংস ব্যাট করে ১২১ ও ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ইনিংস ব্যাট করে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ৩৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ১০.৪ ওভার বল করে ২৪ রানে এক উইকেট পাওয়া জিমি পরের ইনিংসে ১৬ ওভারে ৩২ রান খরচায় পান তিন উইকেট।
এই ম্যাচে কিছু না করলেও ম্লান হতো না অ্যান্ডারসনের কীর্তি। ২০০৩ সালে লর্ডসেই অভিষেক ঘটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২১ বছরের এক তরুণ প্রথম ম্যাচেই নিয়েছিলেন ফাইফার। কী অদ্ভুত, সেই ম্যাচেও ইংলিশরা জিতেছিল ইনিংস ব্যবধানে। এরপর সময় গড়িয়েছে। কত কিছু এলো গেল, অ্যান্ডারসন রয়ে গেলেন।
রঙিন পোশাকের খেলা ছেড়েছেন আরও ৯ বছর আগে। টি-টোয়েন্টি থেকে সব গুটিয়ে নিয়েছেন সেই ২০০৯ সালে। থেকে যান সাদা পোশাক, লাল বলে। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাটটি তাকে দিয়েছে দুহাত ভরে। ১৮৮ টেস্টের ৩৫০ ইনিংসে নিয়েছেন ৭০৪ উইকেট। সর্বকালের সবচেয়ে বেশি উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয়, পেসারদের মধ্যে সবার ওপরে। একমাত্র পেসার হিসেবে নিয়েছেন ৭০০-র অধিক উইকেট। সমান ৩২ বার করে ইনিংসে চার ও পাঁচটি করে উইকেট পান অ্যান্ডারসন।
শুরুর মতো শেষটাতেও বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়লেন অ্যান্ডারসন। পার্থক্য কেবল এতটুকুই, সেদিন তিনি ছিলেন নবীন। আজ আগামীর নতুনদের জন্য প্রেরণা।